চেতনা বার্তা ডেস্কঃ চলতি মাসের শেষ দশ দিনকে ‘ক্রান্তিকাল’ ধরে ওই সময়ে বড় ধরনের কর্মসূচিতে
যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। মধ্য নভেম্বরের পর
আন্দোলনকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়, যাতে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ‘ফল’
পাওয়া যায়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের নেতাদের এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন
বলে জানা গেছে।
বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা নিয়ে শিগগিরই ঢাকায় ফিরবেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। ঢাকায় ১৫ নভেম্বর সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এরই মধ্যে সর্বদলীয় সরকার গঠন ও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ রকম পরিস্থিতিতে মধ্য নভেম্বরের পর ‘সর্বোচ্চ শক্তির’ টানা কর্মসূচি দিয়ে আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপিও।
ওই দশ থেকে ১৫ দিনকে ‘ক্রান্তিকাল’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। মধ্য নভেম্বরের পর দেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটবে এমন কথা এখন আলোচিত হচ্ছে বেশি। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মধ্যে আবারও ছেদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক রাজনীতিক।
এদিকে মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনাগ্রহের কারণে বিএনপি বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে। সংকট নিরসনে তারা দুই মহাসচিবের সংলাপ চাইলেও দুই নেত্রীর সংলাপ চাচ্ছেন না। সমঝোতার সব পথ বন্ধ হয়ে গেলে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান চাইতে পারে দলটি। তবে এ বিষয়ে দলের দুই ধরনের মতামত থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট কথা— নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না। সংলাপও হতে হবে ওই বিষয়ে। আর সরকার যদি আমাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করে তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’
এর আগের দিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। সামনে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’
সম্প্রতি কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সময় বিএনপিপ্রধান নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান নির্দলীয় হতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। এ থেকে তার সরে আসার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকারবিরোধী পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। বৈঠকের আগে দলের সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ বলেছেন, আগামী সপ্তাহে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং অন্তত ৭২ ঘণ্টার হরতাল দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
জানা গেছে, হেফাজতের সমাবেশের আগে-পরে অর্থ্যাৎ মধ্য নভেম্বরের পর বিএনপি টানা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। আর তফসিল ঘোষণার দিন থেকে সর্বোচ্চ শক্তি দেখাতে চায় তারা। আন্দোলনকে এমন পর্যায়ে নিতে চায়, যাতে অন্তত আওয়ামী লীগের হাতে দেশ পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ না থাকে।
বিএনপির কয়েক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ২০ নভেম্বরের পর এমন কিছু হবে, যার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ যে কোনো সরকার ক্ষমতা হারাবে। তবে কীভাবে সেই কাজটি হবে তা পরিষ্কার করেননি তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পদাকসহ কয়েক নেতাকে সতর্ক অবস্থানে থেকে আন্দোলন করার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ ওই নেতাদের টেলিফোন করে এমন বার্তা দিয়েছেন বলে কয়েক নেতা জানিয়েছেন। তবে কেন এ ধরনের বার্তা এসেছে, তা কেউ বলতে পারেননি। বর্তমান ।
বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা নিয়ে শিগগিরই ঢাকায় ফিরবেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। ঢাকায় ১৫ নভেম্বর সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এরই মধ্যে সর্বদলীয় সরকার গঠন ও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ রকম পরিস্থিতিতে মধ্য নভেম্বরের পর ‘সর্বোচ্চ শক্তির’ টানা কর্মসূচি দিয়ে আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপিও।
ওই দশ থেকে ১৫ দিনকে ‘ক্রান্তিকাল’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। মধ্য নভেম্বরের পর দেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটবে এমন কথা এখন আলোচিত হচ্ছে বেশি। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মধ্যে আবারও ছেদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক রাজনীতিক।
এদিকে মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনাগ্রহের কারণে বিএনপি বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে। সংকট নিরসনে তারা দুই মহাসচিবের সংলাপ চাইলেও দুই নেত্রীর সংলাপ চাচ্ছেন না। সমঝোতার সব পথ বন্ধ হয়ে গেলে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান চাইতে পারে দলটি। তবে এ বিষয়ে দলের দুই ধরনের মতামত থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট কথা— নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না। সংলাপও হতে হবে ওই বিষয়ে। আর সরকার যদি আমাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করে তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’
এর আগের দিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। সামনে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’
সম্প্রতি কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সময় বিএনপিপ্রধান নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান নির্দলীয় হতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। এ থেকে তার সরে আসার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকারবিরোধী পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। বৈঠকের আগে দলের সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ বলেছেন, আগামী সপ্তাহে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং অন্তত ৭২ ঘণ্টার হরতাল দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
জানা গেছে, হেফাজতের সমাবেশের আগে-পরে অর্থ্যাৎ মধ্য নভেম্বরের পর বিএনপি টানা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে। আর তফসিল ঘোষণার দিন থেকে সর্বোচ্চ শক্তি দেখাতে চায় তারা। আন্দোলনকে এমন পর্যায়ে নিতে চায়, যাতে অন্তত আওয়ামী লীগের হাতে দেশ পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ না থাকে।
বিএনপির কয়েক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ২০ নভেম্বরের পর এমন কিছু হবে, যার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ যে কোনো সরকার ক্ষমতা হারাবে। তবে কীভাবে সেই কাজটি হবে তা পরিষ্কার করেননি তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পদাকসহ কয়েক নেতাকে সতর্ক অবস্থানে থেকে আন্দোলন করার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ ওই নেতাদের টেলিফোন করে এমন বার্তা দিয়েছেন বলে কয়েক নেতা জানিয়েছেন। তবে কেন এ ধরনের বার্তা এসেছে, তা কেউ বলতে পারেননি। বর্তমান ।