GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

চেতনা বার্তা ডেস্কঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনা বাহিনীও দায়িত্ব পালন করবেন।

সোমবার জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা উপলক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে দেয়া জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি একথা বলেন।

তফসিল সম্পর্কে সিইসি বলেন, ভোটগ্রহণ ৫ জানুয়ারি ২০১৪, মনোনয়নপ্রত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ২ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাইয়ের শেষ দিন ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৩ ডিসেম্বর। এছাড়া প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৪ ডিসেম্বর।

তিনি বলেন, একই দিনে সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে আমাদের নির্বাচন করতে হয়। উপরন্তু আমাদের এ জনবহুল দেশে ভোটার সংখ্যাও বিশাল। এ বিরাট কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন্ন করতে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা অতি দুরূহ। তাই প্রতিবারের মতো এবারও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ভিডিপি, আনসার, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর সাথে সকলের প্রিয় ও আস্থাভাজন সশস্ত্র বাহিনীকেও নির্বাচনের জন্য দেশব্যাপী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণভাবে একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারব- ইনশাআল্লাহ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারে নিজেদের পছন্দমতো প্রতিনিধি বেছে নেয়ার অধিকার সব ভোটারের। এটা শুধু সাংবিধানিক অধিকারই নয়, এটা আপনাদের মহান দায়িত্ব ও কর্তব্য। নিজ নিজ ভোটাধিকার  প্রয়োগের মাধ্যমে আপনার রায় প্রকাশ করে নিজের অধিকার আদায় করুন, নির্ভয়ে জাতীয় দায়িত্ব পালন করুন।

এর আগে সিইসি বলেন, আমি প্রথমেই সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি- জাতির সেই সব বীর শহীদদের যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা মায়ের ভাষা রক্ষা করতে পেরেছি এবং পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। একই সাথে স্মরণ করছি, অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যারা ১৯৭১ সালে জীবনের মায়া ত্যাগ করে শত প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও যুদ্ধ করে এ দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর স্থান করে দিয়েছেন আমাদের সবার জন্য।

তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির শুরুতেই আমরা নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে মত বিনিময় করি। সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী, নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত এনজিও প্রধানদের সাথে আমরা পৃথক পৃথক বৈঠকে সব বিষয়ে আলোচনা করি। নির্বাচনের প্রধান স্টেক হোল্ডার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথেও পৃথক পৃথকভাবে মতবিনিময় করি। ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও জাতীয় সংসদ আসনের সীমানা নির্ধারণ ছাড়াও অন্যান্য বিষয়েও মতামত আহ্বান করা হয় এবং সব দলকে যে কোন বিষয়ে যে কোন সময়ে তাদের মতামত থাকলে তা কমিশনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। সে সময়ে নিবন্ধিত ৩৮টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করে তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করে। বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণে তাদের মতামত বিশেষ করে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের মতামতকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছি।
Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top