গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমূখি নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
রাজনৈতিক সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণেই বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে অভিযোগ
সংশ্লিষ্টদের। পণ্য সরবরাহ কমের অজুহাতে দফায় দফায় দাম হাকাচ্ছে
ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারে এসে হিমশিম খাচ্ছেন রাজধানীবাসী। পুরো নগরজুড়েই
নিত্যপণ্যের উর্ধ্বমূখিতা নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে।
খিলগাঁওয়ের বাসিন্ধা তারিক মাহমুদ জাস্ট নিউজকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ক’দিন ধরে ভয়ে বাজারে যাচ্ছি না, স্ত্রীকে পাঠাচ্ছি। দাম বাড়ছেই। দোকানীরা শুধু একটাই কথা বলছে, সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি। আসলে আমরা কি বলব। গত দু’ বছরেও এক টাকা বেতন বাড়েনি, সেটা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই।
গত সপ্তাহে ১৮ দলীয় জোটের হরতালকালে উর্ধ্বমূখি বাজার এ সপ্তাহে অব্যাহত রয়েছে। সব ধরণের সবজি, চাল, ডাল, পিঁয়াজ ও মাছের দাম বেড়েছে। যদিও শীতকালীন সবজি বাজার দখল করেছে তবু দাম তুলানামূলক বেশি। তবে কিছু কিছু সবজি গত সপ্তাহের চেয়ে ২ থেকে ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে হরতালের মতো কর্মসূচি আসলে দাম আরো বাড়বে মনে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সব ধরণে চালের দাম। গেল সপ্তাহে কিছুটা উর্ধ্বমূখি দেখা গেলেও এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়তি নেয়া হচ্ছে। নাজিরশাইল ৫৮ থেকে ৬৪ টাকা, মিনিকেট ৫০ থেকে ৫২ টাকা, লতা ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, মোটা চাল ৪০ টাকায়, স্বর্ণা ৪২ টাকা, পাইজাম ৪০ থেকে ৪৩ টাকা, কাটারিভোগ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, কোন চালই নতুন করে আমদানী করা হয়নি। সবগুলোই আগভাগেই স্টক ছিলো। এখন হরতালের অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে। মালিবাগ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মিলন জানান, আড়তে দাম বেড়েছে একই সঙ্গে পরিবহণ পাওয়া যাচ্ছে না, যাও পাওয়া যায়, দাম বেশি তাই সব ধরণের চালের দাম একটু বাড়তি।
একই অবস্থা পেঁয়াজের বাজারে। সরকারের পক্ষ থেকে পিঁয়াজ কারসাজিকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দাম বাড়ছেই, নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি জাতের নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে আরো দেড় মাস লাগবে। এর আগে দাম কমার সম্ভাবণা কম।
খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১১০ টাকা, আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। টিসিবি খোলা বাজারে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি করলেও তেমন প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ১৮ টাকায়, ফুলকপি (বড়) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা পর্যন্ত, ছোট ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাকরল ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শষা ৩০ টাকা, গাজর ৩৫ টাকা, পেপে ২৪ টাকা, ঢেড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি ২০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, সিম প্রকার (জাত) ভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুইশাক (আঁটি) ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০, লাউ শাক ১৫ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস ও ডিমের দাম। গরু ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় এবং প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, দেশি ২৪০ টাকা। প্রতিহালি মুরগির ডিম (ফার্ম) ৩২ টাকা, দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম ৪০ টাকা।
ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও বেড়েছে ইলিশের দাম। ইলিশ (ছোট) জোড়া বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ জোঁড়া ১ হাজার থেকে ১২ শ’ টাকা। এছাড়া রুই ৩০০ টাকা, কাতলা ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, কৈ (চাষের) ৩ শ’ টাকা, মাঝারি সিলভার ১৩০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ টাকা, শৌল ৩৪০ থেকে ৬০ টাকা।
খিলগাঁওয়ের বাসিন্ধা তারিক মাহমুদ জাস্ট নিউজকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ক’দিন ধরে ভয়ে বাজারে যাচ্ছি না, স্ত্রীকে পাঠাচ্ছি। দাম বাড়ছেই। দোকানীরা শুধু একটাই কথা বলছে, সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি। আসলে আমরা কি বলব। গত দু’ বছরেও এক টাকা বেতন বাড়েনি, সেটা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই।
গত সপ্তাহে ১৮ দলীয় জোটের হরতালকালে উর্ধ্বমূখি বাজার এ সপ্তাহে অব্যাহত রয়েছে। সব ধরণের সবজি, চাল, ডাল, পিঁয়াজ ও মাছের দাম বেড়েছে। যদিও শীতকালীন সবজি বাজার দখল করেছে তবু দাম তুলানামূলক বেশি। তবে কিছু কিছু সবজি গত সপ্তাহের চেয়ে ২ থেকে ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে হরতালের মতো কর্মসূচি আসলে দাম আরো বাড়বে মনে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সব ধরণে চালের দাম। গেল সপ্তাহে কিছুটা উর্ধ্বমূখি দেখা গেলেও এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়তি নেয়া হচ্ছে। নাজিরশাইল ৫৮ থেকে ৬৪ টাকা, মিনিকেট ৫০ থেকে ৫২ টাকা, লতা ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, মোটা চাল ৪০ টাকায়, স্বর্ণা ৪২ টাকা, পাইজাম ৪০ থেকে ৪৩ টাকা, কাটারিভোগ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, কোন চালই নতুন করে আমদানী করা হয়নি। সবগুলোই আগভাগেই স্টক ছিলো। এখন হরতালের অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে। মালিবাগ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মিলন জানান, আড়তে দাম বেড়েছে একই সঙ্গে পরিবহণ পাওয়া যাচ্ছে না, যাও পাওয়া যায়, দাম বেশি তাই সব ধরণের চালের দাম একটু বাড়তি।
একই অবস্থা পেঁয়াজের বাজারে। সরকারের পক্ষ থেকে পিঁয়াজ কারসাজিকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দাম বাড়ছেই, নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি জাতের নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে আরো দেড় মাস লাগবে। এর আগে দাম কমার সম্ভাবণা কম।
খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১১০ টাকা, আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। টিসিবি খোলা বাজারে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি করলেও তেমন প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ১৮ টাকায়, ফুলকপি (বড়) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা পর্যন্ত, ছোট ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাকরল ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শষা ৩০ টাকা, গাজর ৩৫ টাকা, পেপে ২৪ টাকা, ঢেড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি ২০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, সিম প্রকার (জাত) ভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুইশাক (আঁটি) ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০, লাউ শাক ১৫ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস ও ডিমের দাম। গরু ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় এবং প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, দেশি ২৪০ টাকা। প্রতিহালি মুরগির ডিম (ফার্ম) ৩২ টাকা, দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম ৪০ টাকা।
ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও বেড়েছে ইলিশের দাম। ইলিশ (ছোট) জোড়া বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ জোঁড়া ১ হাজার থেকে ১২ শ’ টাকা। এছাড়া রুই ৩০০ টাকা, কাতলা ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, কৈ (চাষের) ৩ শ’ টাকা, মাঝারি সিলভার ১৩০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ টাকা, শৌল ৩৪০ থেকে ৬০ টাকা।