চেতনা বার্তা ডেস্কঃ কেউতো আর ইচ্ছা করে জ্বলন্ত যানবাহনে আটকায় না, তবু যদি ভাগ্যের দরুন এই পরিস্থিতিতে পড়েন, কি করতে হবে, জেনে রাখুন।
1. জ্বলন্ত যানবাহনে আটকে পড়লে শুধু যে পুড়ে মরার আশংকা থাকে, তাই নয়। যানবাহনে অনেক সিনথেটিক উপকরণ থাকে যা পুড়ে বিষাক্ত ধোঁয়া সৃষ্টি করে। এছাড়া আগুন লাগা যানবাহনে অক্সিজেন স্বল্পতায় কার্বন-মনোক্সাইডের মত বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। এগুলোর প্রভাবে আপনি জ্ঞান হারাতে পারেন যার পরিণতি মৃত্যু।
তাই, প্রথম কাজ হিসেবে আপনাকে যা করতে হবে, আতংকিত (বা প্যানিকড) হওয়া এড়াতে হবে। আতংকিত হলে আপনি সাধারণ বিচার- বুদ্ধি হারাবেন। শান্ত হয়ে আপনাকে যানবাহন থেকে বের হবার উপায় বের করতে হবে।
2. আগুন লাগলে চলন্ত যানবাহন থামাতে হবে। আগুন অক্সিজেন পেলে আরো দাওদাও
করে বেশি করে জ্বলবে। তাই, যানবাহন থামাতে হবে। একই কারণে গায়ে আগুন লাগলে না দৌড়িয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে হয়।
3. আগুন নেভাতে হলে শুরুতেই নেভানো ভাল। কিন্ত, যেই লড়াইতে জেতার সম্ভাবনা কম, তাতে জড়িয়ে সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। যানবাহনের সাইডের
জানালায় জোড়া পা দিয়ে লাথি দিতে হবে। এতে বিষাক্ত গ্যাস বের হবার সাথে সাথে নিজেদের বের হবার রাস্তা তৈরি হতে পারে।
4. প্রাইভেট কার বা মাইক্রোতে থাকলে প্রথমেই গাড়ির দরজা আনলক করতে হবে।
এতে নিজে দরজা খুলে বের হতে না পারলেও সাহায্যকারীরা দরজা খুলে বের করার সুযোগ পাবে। সিট-বেল্ট থাকলে খুলে ফেলুন।
5. পেট্রোল বা গ্যাসোলিনের আগুনে পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা না করাই ভাল। তেল আর পানি মিশে না। ফলে, পানি জ্বলন্ত তেলের নিচে চলে যায় আর জ্বলন্ত তেলের তাপে ফুটতে শুরু করে। এই ফুটন্ত পানি তেলকে চারপাশে ছিটকে দিয়ে আগুনকে চারপাশে আরো ছড়িয়ে দেয়। তেল দ্বারা সৃষ্ট আগুন নেভানোর উপায় হচ্ছে, বালি বা কম্বল
দিয়ে আগুনকে ঢেকে দেয়া। বালতি দিয়ে একবারে ২ লিটারের অধিক পানি ঢালার উপায় না থাকলে তেলের আগুনে পানি দেয়া খুবই বিপদজনক।
6. তাড়াতাড়ি যানবাহন থেকে বেড়িয়ে আশেপাশের চলন্ত যানবাহনের নিচে পড়া এড়াতে হবে।
7. বড় মালপত্র বের করতে গিয়ে বের হবার রাস্তা বন্ধ করা বা সময় নষ্ট করা যাবে না।
8. জ্বলন্ত যান- বাহন থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে ফায়ার- ব্রিগেডকে খবর দিতে হবে।
9. গাড়ির ইগনিশন বন্ধ করে দিতে হবে।
10. সবশেষে, ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি না করে আল্লাহু আকবার বলে আশেপাশের দুর্গতদের সাহস দিতে পারেন। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হন।
1. জ্বলন্ত যানবাহনে আটকে পড়লে শুধু যে পুড়ে মরার আশংকা থাকে, তাই নয়। যানবাহনে অনেক সিনথেটিক উপকরণ থাকে যা পুড়ে বিষাক্ত ধোঁয়া সৃষ্টি করে। এছাড়া আগুন লাগা যানবাহনে অক্সিজেন স্বল্পতায় কার্বন-মনোক্সাইডের মত বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। এগুলোর প্রভাবে আপনি জ্ঞান হারাতে পারেন যার পরিণতি মৃত্যু।
তাই, প্রথম কাজ হিসেবে আপনাকে যা করতে হবে, আতংকিত (বা প্যানিকড) হওয়া এড়াতে হবে। আতংকিত হলে আপনি সাধারণ বিচার- বুদ্ধি হারাবেন। শান্ত হয়ে আপনাকে যানবাহন থেকে বের হবার উপায় বের করতে হবে।
2. আগুন লাগলে চলন্ত যানবাহন থামাতে হবে। আগুন অক্সিজেন পেলে আরো দাওদাও
করে বেশি করে জ্বলবে। তাই, যানবাহন থামাতে হবে। একই কারণে গায়ে আগুন লাগলে না দৌড়িয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে হয়।
3. আগুন নেভাতে হলে শুরুতেই নেভানো ভাল। কিন্ত, যেই লড়াইতে জেতার সম্ভাবনা কম, তাতে জড়িয়ে সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। যানবাহনের সাইডের
জানালায় জোড়া পা দিয়ে লাথি দিতে হবে। এতে বিষাক্ত গ্যাস বের হবার সাথে সাথে নিজেদের বের হবার রাস্তা তৈরি হতে পারে।
4. প্রাইভেট কার বা মাইক্রোতে থাকলে প্রথমেই গাড়ির দরজা আনলক করতে হবে।
এতে নিজে দরজা খুলে বের হতে না পারলেও সাহায্যকারীরা দরজা খুলে বের করার সুযোগ পাবে। সিট-বেল্ট থাকলে খুলে ফেলুন।
5. পেট্রোল বা গ্যাসোলিনের আগুনে পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা না করাই ভাল। তেল আর পানি মিশে না। ফলে, পানি জ্বলন্ত তেলের নিচে চলে যায় আর জ্বলন্ত তেলের তাপে ফুটতে শুরু করে। এই ফুটন্ত পানি তেলকে চারপাশে ছিটকে দিয়ে আগুনকে চারপাশে আরো ছড়িয়ে দেয়। তেল দ্বারা সৃষ্ট আগুন নেভানোর উপায় হচ্ছে, বালি বা কম্বল
দিয়ে আগুনকে ঢেকে দেয়া। বালতি দিয়ে একবারে ২ লিটারের অধিক পানি ঢালার উপায় না থাকলে তেলের আগুনে পানি দেয়া খুবই বিপদজনক।
6. তাড়াতাড়ি যানবাহন থেকে বেড়িয়ে আশেপাশের চলন্ত যানবাহনের নিচে পড়া এড়াতে হবে।
7. বড় মালপত্র বের করতে গিয়ে বের হবার রাস্তা বন্ধ করা বা সময় নষ্ট করা যাবে না।
8. জ্বলন্ত যান- বাহন থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে ফায়ার- ব্রিগেডকে খবর দিতে হবে।
9. গাড়ির ইগনিশন বন্ধ করে দিতে হবে।
10. সবশেষে, ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি না করে আল্লাহু আকবার বলে আশেপাশের দুর্গতদের সাহস দিতে পারেন। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হন।