চেতনা বার্তা ডেস্কঃ ‘জনগণ যতটুকু ভোট দিয়েছে এতেই আমরা সন্তুষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী
লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকালে গণভবনে একতরফা
দশম জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
তিনি এ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, আমরা কাজ করে যাব। উজানে নাও ঠেলে যাওয়াই তো আমাদের কাজ। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আলোচনার উদ্যোগ আমি নিয়েছিলাম। আমি বারবার উদ্যোগ নিয়েছি, নিজে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে টেলিফোন করেছি। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা সবার সঙ্গে কথা বলব।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যতোক্ষণ জঙ্গিবাদী জামায়াত তাদের ঘাড়ে চেপে থাকবে ততোক্ষণ তারা সুস্থ চিন্তা করবে পারবে না। আগে তাদের সঙ্গ ছাড়তে হবে। তাহলে আলোচনার একটা সুষ্ঠু পরিবেশ হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, নিরীহ মানুষের রক্তে আজ গণতন্ত্র রক্তাক্ত। তাই সন্ত্রাস আর সহিংসতা পরিহার করে রাজনীতিতে আসুন।
তিনি বলেন, জনগণ শান্তি ও গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে। সেজন্য শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে তারা ভোট দিয়েছে।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি পুরো নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু জনগণ তাদের সে আহবানে সাড়া দেয়নি।
জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ঐক্যের পথে আছি। যারা জঙ্গীবাদে বিশ্বাস করে তারই নির্বাচন বর্জন করেছে।
এ নির্বাচন নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠবে কিনা জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, যেভাবে লাদেন ষ্টাইলে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছিল তা সফল হয়নি। তবে বেশ কিছু ভোট কেন্দ্রে জামাত-বিএনপি হামলা চালিয়েছে। এছাড়া সব কেন্দ্রই ভালভাবে নির্বাচন হয়েছে। তাই এ নির্বাচন নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতে পারে তা আমি বিশ্বাস করিনা।
এ সময় তিনি নির্বাচনে যারা ভোটে অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকেসহ যারা এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য যে কয়টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি তারা থাকলে এ নির্বাচন আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারত।
তিনি বলেন, যারা জনগণের জানমাল নিয়ে খেলবে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের বর্জনের মধ্যে রবিবার একতরফা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের আগে ১৫৩ আসনে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ায় ১৪৭টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধী দলের লাগাতার কর্মসূচির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে সরকার। তবে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত লাগাতার অবরোধের পাশাপাশি সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে ১৮ দলীয় জোট।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, এইচটি ইমাম, গওহর রিজভী, ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন। সভাপতিমন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- ওবায়দুল কাদের, লতিফ সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, সতীশ চন্দ্র। মহাজোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন হাসানুল হক ইনু।
এছাড়া ডা. দীপু মনি, সাহারা খাতুন, ড. হাছান মাহমুদ, এডভোকেট কামরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের ঢাকায় উপস্থিত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, আমরা কাজ করে যাব। উজানে নাও ঠেলে যাওয়াই তো আমাদের কাজ। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আলোচনার উদ্যোগ আমি নিয়েছিলাম। আমি বারবার উদ্যোগ নিয়েছি, নিজে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে টেলিফোন করেছি। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা সবার সঙ্গে কথা বলব।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যতোক্ষণ জঙ্গিবাদী জামায়াত তাদের ঘাড়ে চেপে থাকবে ততোক্ষণ তারা সুস্থ চিন্তা করবে পারবে না। আগে তাদের সঙ্গ ছাড়তে হবে। তাহলে আলোচনার একটা সুষ্ঠু পরিবেশ হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, নিরীহ মানুষের রক্তে আজ গণতন্ত্র রক্তাক্ত। তাই সন্ত্রাস আর সহিংসতা পরিহার করে রাজনীতিতে আসুন।
তিনি বলেন, জনগণ শান্তি ও গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে। সেজন্য শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে তারা ভোট দিয়েছে।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি পুরো নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু জনগণ তাদের সে আহবানে সাড়া দেয়নি।
জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ঐক্যের পথে আছি। যারা জঙ্গীবাদে বিশ্বাস করে তারই নির্বাচন বর্জন করেছে।
এ নির্বাচন নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠবে কিনা জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, যেভাবে লাদেন ষ্টাইলে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছিল তা সফল হয়নি। তবে বেশ কিছু ভোট কেন্দ্রে জামাত-বিএনপি হামলা চালিয়েছে। এছাড়া সব কেন্দ্রই ভালভাবে নির্বাচন হয়েছে। তাই এ নির্বাচন নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতে পারে তা আমি বিশ্বাস করিনা।
এ সময় তিনি নির্বাচনে যারা ভোটে অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকেসহ যারা এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য যে কয়টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি তারা থাকলে এ নির্বাচন আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারত।
তিনি বলেন, যারা জনগণের জানমাল নিয়ে খেলবে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের বর্জনের মধ্যে রবিবার একতরফা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের আগে ১৫৩ আসনে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ায় ১৪৭টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধী দলের লাগাতার কর্মসূচির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে সরকার। তবে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত লাগাতার অবরোধের পাশাপাশি সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে ১৮ দলীয় জোট।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, এইচটি ইমাম, গওহর রিজভী, ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন। সভাপতিমন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- ওবায়দুল কাদের, লতিফ সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, সতীশ চন্দ্র। মহাজোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন হাসানুল হক ইনু।
এছাড়া ডা. দীপু মনি, সাহারা খাতুন, ড. হাছান মাহমুদ, এডভোকেট কামরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের ঢাকায় উপস্থিত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।