ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল করিম কিনু ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা নাছিমা খাতুনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তথ্য অনলাইন নিবন্ধনে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই শোকজ নোটিশ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফোরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিন কার্যদিবসের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশের জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার করতোয়ায় ধুনটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নিবন্ধনে টাকা আদায়ের অভিযোগ-শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৪ হাজার ৫০৯জন অসহায় দরিদ্র মানুষকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। বছরে ৫ মাস ১০ টাকা কেজি দরে সুবিধাভোগীরা ৩০ কেজি করে চাল পায়। সরকারিভাবে প্রতিজন সুবিধাভোগীর ভেরিফাইড ডাটাবেজ প্রণয়নের জন্য ১৫টাকা বরাদ্দ থাকলেও উল্টো সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ১০০টাকা থেকে ৭০০ টাকা আদায় করছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য ও উদ্যোক্তারা। সরেজমিন অনুসন্ধানে উপজেলার গোসাইবাড়ি ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগের প্রমান পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে করতোয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর অভিযোটি আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত তদন্ত করে সত্যতার প্রমান পেয়েছেন। এ কারণে বৃহস্পতিবার গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাকে শোকজ করেছেন।
গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল করিম কিনু ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা নাছিমা খাতুন জানান, কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব দাখিল করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার জবাব সন্তোষজনক না হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।