কক্সবাজার প্রতিনিধি
পেকুয়ায় বাল্য বিবাহের শিকারে শেষ পরীা দিতে পারলনা এক পিএসসি পরীার্থী। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে টি ঠেকানো গেলেও হামিদার জীবন থেকে ছিটকে গেল একটি বছর। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, টইটং ইউনিয়নের দরগামোড়া এলাকার বাসিন্দা ছাবের আহমদের মেয়ে হালিমা বেগম হাজিবাজারস্থ সোনাইছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবারে পিএসসি পরীায় অংশ গ্রহণ করে শেষ পরীক্ষা ছাড়া সবকটি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে টইটং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছিল। কিন্তু ৬ ডিসেম্বরের ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে শেষ পরীক্ষায় অংশগ্রহন না করায় অনুপস্থিতি কারণে খোঁজ খবর নিয়ে মেয়েটির বিয়ের খবর জানতে পেরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তপন কান্তি চৌধুরী ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বেলাল হোছাইন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর শওকত হোসেনকে অবহিত করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার টইটং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিনকে ওই বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে গ্রাম পুলিশ প্রেরণ করে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টইটং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, ৬ ডিসেম্বর বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন ধার্য ছিল। বিবাহের জন্য গরু জবাই সহ অন্যান্য সার্বিক আয়োজনও করা হয় মেয়েটিকে রাজাখালী ইউনিয়নের এক প্রবাসীর সাথে বিয়ের জন্যে। অবশেষে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়েটি ঠেকানো গেছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন।