GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

চেতনা বার্তা ডেস্কঃ ১৩ ডিসেম্বর বগুড়া হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বগুড়া শহর হানাদারমুক্ত হয়। ১০ ডিসেম্বর থেকে হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মরণপণ যুদ্ধ করে। আকাশে মিত্র বাহিনীর বোমারু বিমান, মাটিতে মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর অভিযান। দিশেহারা হয়ে পাকহানাদার বাহিনী কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ২৮ নভেম্বর শনিবার সারিয়াকান্দি থানা প্রথম হানাদার বাহিনী মুক্ত হওয়ার পর একে একে বগুড়ার সোনাতলা, গাবতলী, শিবগঞ্জ, ধুনট, শেরপুর মুক্ত হয়। এরপর এক সাথে ১৩ ডিসেম্বর বগুড়া সদর, কাহালু, নন্দীগ্রাম, দুপচাঁচিয়া থানা হানাদার মুক্ত হয়।
১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ভোরে মিত্র বাহিনী (ভারতীয় সেনা) এ ৬৪ মাউনটেন্ট রেজিমেন্টের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার প্রেমসিংহ এক ব্রিগেড সৈন্য নিয়ে বগুড়া শহরের ৩ কিলোমিটার উত্তরে নওদাপাড়া-চাঁদপুর ও ঠেঙ্গামারা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান লাঠিগাড়ী মাঠ সংলগ্ন বগুড়া-রংপুর সড়কে অবস্থান নেয়। আর্টিলারি ডিভিশন সেখানে বাঙ্কার খনন করে অবস্থান নেয়। তারা বগুড়া শহরে পাক সৈন্যদের অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে শহরে অভিযান পরিচালনার জন্য ফ্রন্ট ফাইটার গোর্খা বাহিনীর সৈন্যরা ট্যাংক নিয়ে শহর অভিমুখে মার্চ করে। ১০, ১১ ও ১২ ডিসেম্বর তুমুল যুদ্ধ হয়। ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করবে বলে সংবাদ পাওয়া গেলে বগুড়াবাসী সহ মিত্র বািহনীতে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। ১৩ ডিসেম্বরের পর বুক ভরা শ্বাস ফেলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষ। হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার , আলবদর , আলসামস ও মুসলিম লীগের পান্ডারা বগুড়ার বিভিন্ন গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে।
Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top