GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com


চেতনা বার্তা ডেস্কঃ রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে কোনো ধরনের উৎসাহ উদ্দীপনা ছাড়াই শেষ হয়েছে বিরোধী দলের বর্জনকৃত এ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। পাশাপাশি ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি পর্বও সম্পন্ন হওয়ার পথে। তবে বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধের মধ্যে একতরফা নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবে কিনা, এ নিয়ে সরকার তথা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যেই রয়েছে শঙ্কা। তাই ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিশেষ তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলটির তৃণমূল পর্যায়ের বহু নেতা আশঙ্কা করছেন রবিবারের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি কম হতে পারে। এতে করে আ. লীগের পরিকল্পনা মাঠে মারা যেতে পারে। কারণ, আ. লীগ চায় নির্বাচনটিকে জনগণের সামনে গ্রহণযোগ্যভাবে উপস্থাপন করতে। ফলে আগামীকালের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে তারা। উৎকণ্ঠায় আছেন আওয়ামী নীতি-নির্ধারকরা। দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা ও দলের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ঢেলে ভোটার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিচ্ছেন নীতি-নির্ধারকরা। নির্দেশনা অনুযায়ী তৃণমূল নেতারা আদাজল খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন। প্রয়োজনে টাকা ছড়ানোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

এদিকে টাকা ছড়ানো হোক বা নাই হোক ৩৫ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি আগামীকালের নির্বাচনে চোখে পড়বে না, এমন আশঙ্কা কাজ করছে আওয়ামী লীগ নেতাদের মনে।

১৫৩ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ১৪৭টি আসনে আগামীকাল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইংরেজি দৈনিক দ্যা ট্রিবিউনের জরীপ অনুযায়ী ৭৭ শতাংশ মানুষ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন না এবং ৪১ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পারেন। এছাড়া ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে সংসদের অর্ধেকেরও বেশি ১৫৩টি আসনের প্রার্থীরা এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না, যা দেশের ৯ দশমিক ৯ কোটি ভোটারের অর্ধেকেরও বেশি ভোটারকে চরমভাবে বঞ্চিত করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে নির্বাচন প্রতিহত করতে শনিবার সকাল থেকে রবিবার দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৮ দলীয় জোট বিভিন্ন আসনে নির্বাচন প্রতিহত করতে বিভিন্ন স্থানে প্রহসনের নির্বাচন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছে। বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী দলীয় কর্মীরা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছেন।
Comments
0 Comments
 
Top