চেতনাবার্তা ডেস্কঃ চলমান মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। তবে ছুটি বাড়ানো নিয়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি সপ্তাহে আবারো বাড়ানো হচ্ছে ছুটি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন আগামী এপ্রিল মাসের আগে স্কুল-কলেজ খোলার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। সবদিক বিবেচনায় মে এপ্রিলের আগে খুলছে না স্কুল কলেজ।
সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হবে না। তবে, ছুটি বাড়ানো নিয়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
জানা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দেশে শীত থাকবে। তাই এই শীতের সময়টাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না সরকার। তাই ফেব্রুয়ারির পরেও আরো এক মাস অর্থাৎ মার্চ মাস পর্যন্ত সময়টা পর্যবেক্ষণ করে এপ্রিলে খুলতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর এই সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখতে আবারো নতুন করে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। ইতোমধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইমেন্ট প্রণয়নের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে।
এনসিটিবি আরো সূত্র জানায়, বাংলা, ইরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা ও গার্হস্থ্যবিজ্ঞানে সাতটি বিষয়ের প্রণীত সিলেবাস ও অ্যাসাইনমেন্টের হার্ড কপি ও সফটকপি মাউশিতে পাঠিয়েছে এনসিটিবি। পর্যায়ক্রমে অন্য বিষয়গুলোর সিলেবাস ও অ্যাসাইনমেন্ট পাঠানো হবে। চলমান ছুটি আরো বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকায় বন্ধ থাকাকালীন এ উদ্যোগ নিয়েছে এনসিটিবি। আর নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে ফের চালু হবে সংসদ বাংলাদেশ টিভি, রেডিওসহ অন্যান্য ভার্চুয়াল ক্লাস।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ২০২১ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গণমাধ্যমকে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা পুরো শিক্ষাবর্ষের জন্যই অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তাই অ্যাসাইনমেন্টের পাশাপাশি মাউশি বিকল্প পন্থায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষাও চালু রাখবে।