মো:আবুল কাসেম,সভাপতি,বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি |
মো:আবুল কাসেম,সভাপতি,বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতিঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি নন গেজেটেড উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েরর বিধি অনু বিভাগ হতে প্রাপ্ত মতামত এবং সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-৬ শাখা হতে ০৩ জুন ২০২১ খ্রিস্টাব্দ সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে, সেমতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৭/০৬/২০২০ খ্রিস্টাব্দ মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহোদয়কে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের জন্য পত্র মারফত বলা হয়েছে। তাই প্রধান শিক্ষক পদটি যেহেতু নন-গেজেটেড এবং ১১ তম গ্রেড হওয়ায় পদোন্নতির ক্ষেত্রে পিএসসির সুপারিশ প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।
পদোন্নতির যাবতীয় নীতিমালা অনুসরণ করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে প্রধান শিক্ষকগণকে মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তাদের নিজ উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান শূণ্যপদে তাদেরকে পদায়ন করা হয়েছে।কাজেই তাদেরকে পুনরায় গ্রেডেশন তালিকাভুক্ত করার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। কেবল মাত্র বিভাগীয় মামলা ও অন্য কোন সমস্যা ছাড়া কর্মরত চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সকল প্রধান শিক্ষকগণকে একই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
কারণ নতুন করে চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গণকে গ্রেডেশন তালিকাভূক্ত করা হলে যেহেতু তাহারা ২০১৩ সালের ঐ সময়ের প্রচলিত নিয়োগবিধি অনুযায়ী কেবলমাত্র এইচ এস সি ২য় বিভাগ ও ০৭ বছরের অভিজ্ঞতা দিয়ে চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এখন বর্তমান প্রচলিত ২০১৯ এর নিয়োগবিধি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক হলেই অথাৎ এসএসসি পাশ ও অর্ন্তভূক্ত থাকায় চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগনের তুলনায় এস এসসি পাশ করা সহকারী শিক্ষক গণ অনেকেই সিনিয়র হবেন।তখন জটিলতা আরো বৃদ্ধি পাবে এমনটি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
আমার জানামতে নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ীর পিএসসিতে থাকা ফাইলে ও যতটুকু জেনেছি ১ম আটজন এস এস সি পাশ,দুইজন অনিচ্ছুক,উপজেলায় শূন্যপদ ১৯,পূর্বে চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আছেন ১৭জন।তাহলে চলতিদায়িত্ব প্রাপ্ত বাকী আটজন প্রধান শিক্ষকের কি হবে?অথবা এ সমস্যা সমাধানের বিষয়টা ও আগেই ভাবতে হবে।সারাদেশের চিত্র একই হবে।যারা বঞ্চিত হবেন তারাই আদালতে যাবেন,
কোনদিন তাহলে পদোন্নতি আলোর মুখ দেখবে না। মামলা মোকাদ্দমা আবারো জর্জরিত হবে। তাই আমি মনে করি চলতিদায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ যেহেতু আগের নিয়োগবিধিতে যোগ্য হিসাবে সিনিয়র হয়েছেন,পদায়ন হয়েছেন।তাদেরকে পুনরায় গ্রেডেশান তালিকায় নতুন করে আনার প্রয়োজন নেই।নতুনদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করা হউক,যা ২০১৯ এর নিয়োগবিধি অনুসারে।তাছাড়া উচ্চপদে পদায়নের পর দুইবছর কর্মরত থাকলে নিম্নপদে পদ অবনয়নের আইনগত কোন সুযোগ নেই বলে আমি মনে করি।
লেখক:সভাপতি,বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি।