GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

শিক্ষাবার্তা ডেস্কঃ ১১তম গ্রেডে বেতন ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষকরা। একই সাথে শিক্ষকদের দৈনিক ১০০ টাকা হারে টিফিন ভাতা ও যাতায়াত ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। এ দাবিসহ মোট ১৩ দফা দাবি জানিয়েছেন সহকারী শিক্ষকরা। বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে এ ১৩ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি শাহিনূর আল আমিন নিশ্চিত করেছেন।
 
শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে,সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধাারণ করতে হবে। সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি দ্রুত বাস্তবায়নসহ পরিচালক পর্যন্ত যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কিত বিভাগীয় নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় আয়ের ৬ শতাংশ বা মোট বাজেটের ২০ শতাংশ টাকা শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দিতে হবে। শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে আরও আছে, প্রতি তিন বছর পর পর শিক্ষকদের স্বয়ংক্রীয়ভাবে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দিতে হবে। 
 
তারা আরও জানিয়েছেন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে শ্রাস্তি-বিনোদন ভাতা প্রাপ্ত শিক্ষকরা ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের তিন বছর পূর্ণ হওয়া পরেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাননি। শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে আরও আছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের নন-ভ্যাকেশনাল ঘোষণা করে সরকারের অন্য ডিপার্টমেন্টের মত সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। প্রথম যোগদানের তারিখ ধরে জাতীয় পর্যায়ে একটা গ্রেডেশন করতে হবে। ১৩তম গ্রেড বাস্তবায়নে জটিলতা নিরসন করতে হবে।ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণভাতা দ্রুত ছাড় করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, যেহেতু এটা একটা দেড়বছরের প্রশিক্ষণ কোর্স, তাই প্রশিক্ষণোত্তর স্কেল ফিরিয়ে দিতে হবে এবং প্রশিক্ষণ শেষে উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করতে হবে। শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে আরও আছে, চাকরি ২বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। নামমাত্র টিফিন ভাতা মাসিক ২০০ টাকার স্থলে দৈনিক নূন্যতম ১০০ টাকায় উন্নীত করতে হবে। শিক্ষকদের যাতায়াত ভাতা দিতে হবে।শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ইএফটিতে বেতন হওয়া সত্বেও শিক্ষকরা সরকার ঘোষিত গৃহনির্মাণ ঋণ পাচ্ছেন না। শিক্ষকদের শর্তবিহীন গৃহনির্মাণ ঋণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। chetonabarta.blogspot.com আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপ ফান্ডসহ অন্যান্য সরকারি বরাদ্দের টাকা প্রধান শিক্ষক ও এসএমসির সভাপতির যৌথ অ্যাকাউন্টে না দিয়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধির যৌথ অ্যাকাউন্টে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনূর আল আমিন বলেন, আমরা প্রাথমিক শিক্ষকদের বিদ্যমান সব জটিলতা নিরসনে এ দাবিগুলো জানিয়েছি। সহকারী শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে এ দাবিগুলো জানানো হয়েছে। আশা করি শিক্ষকদের জটিলতা নিরসনে এ দাবিগুলো সরকার মেনে নেবে। 
 
শিক্ষকদের দৈনিক ১০০ টাকা টিফিন ভাতা দেয়ার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে এ শিক্ষক নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে সব কিছুর দামই বাড়তি। শিক্ষকদের মাসে ২০০ টাকা টিফিন ভাতা দেয়া হয়। এ হিসেবে টিফিনের জন্য একজন শিক্ষক দিনে ৬ টাকার কিছু বেশি পেয়ে থাকেন। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে যা অমানবিক। বর্তমান বাজারে দুপুরে এক বেলা খেতে কিছু না হলেও ১০০ টাকা দরকার হয়। তাই আমরা শিক্ষকদের দিনে ১০০ টাকা টিফিন ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছি।
Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top