বগুড়া প্রতিনিধিঃ কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে আজ থেকে সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও সাত দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন বাস্তবায়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। বৃষ্টির মধ্যে শহরে দুয়েকটা ব্যক্তিগত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা ছাড়া তেমন পরিবহন নেই সড়কে। এছাড়া ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীকে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের রাস্তায় বের হওয়া কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। রিকশার আরোহীদের বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। এছাড়া শহরের মেইন পয়েন্টগুলোতে ফাঁকা থাকলেও উপশহর, হাকিড় মোড়, নামাজগড়, চেলোপাড়া, বউবাজার, রহমাননগর, জহুরুলনগরসহ বিভিন্ন অলিগলিতে চায়ের দোকান এবং অন্যান্য দোকানের সামনে মানুষের জটলা দেখা গেছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক জানান, বগুড়া শহরে সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে লকডাউন কার্যকর করার জন্য ৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর দু’টি পেট্রোল টিম ও বিজিবির দুই প্লাটুন সদস্য মোতায়েন রয়েছে।এছাড়া র্যাব বগুড়া ক্যাম্পের উপ-সহকারি পরিচালক (ডিএডি) জাহিদুল ইসলাম জানান, তাদের দু’টি টহল টিম মাঠে সক্রিয় রয়েছে।কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসিম রেজা জানান, তারা সকাল থেকেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে বলে এমনিতেই শহরে মানুষের সংখ্যা খুবই কম। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন এমন কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই আইন লংঘনের দায়ে কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, লকডাউনের প্রথম দিন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোন মানুষকে বের হতে দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ‘আজকের লকডাউন সম্পর্কে গত কয়েকদিন ধরেই আমরা জনগণকে অবহিত করে আসছিলাম। তারপরেও লকডাউন কার্যকর করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে বগুড়াবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘জীবন বাঁচার জন্যই এই লকডাউন। এটা আমাদের সবাইকে মানতে হবে। এজন্য সব শ্রেণি- পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা করোনাভাইরাসকে পরাজিত করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো।