আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় খামারিরা তাদের গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানির হাট জমে না ওঠা ও পর্যাপ্ত পাইকার না থাকায় গবাদিপশু বিক্রি করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। আদমদীঘি উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় আড়াই হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য প্রায় ২৬ হাজার ৮৪২টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমানে করোনা ও লকডাউনের কারণে পাইকার সংকটে ও হাট-বাজারে গবাদিপশু বিক্রিতে ভাটা পড়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে খামারিদের।
উপজেলার জিএম রিফ ফাটের্নিং খামারের মালিক আব্দুল মহিত তালুকদার জানান, তার খামারে বর্তমানে ৩৮টি কোরবানির গরু রয়েছে। কিন্তু দেশের পরিস্থিতিতে গরু বিক্রি করা যাচ্ছে না। আগে খামার থেকেই পাইকাররা গরু কিনতে এলেও এখন পর্যন্ত পাইকার আসছে না। এই বিপুল পরিমাণ গরুকে খাবার দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যদিকে কোরবানি মৌসুমে পশু বিক্রি কম হওয়ায় তাদের ব্যাংকের ঋণের বোঝা চেপে বসছে। খামারের রাখা গরু নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।