শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শাজাহানপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক নারীকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আপোষ-মিমাংসারও চেষ্টা চালানো হয়। পরে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও র্যাব অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চার জনকে আটক করেছে। আটকরা হলো, শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে গোলাম রাব্বী ওরফে রাব্বী হাসান (১৯), একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আরেফিন (২৫), তার ছোট ভাই নিশাত (২১) এবং একই উপজেলার ফুলকোট গ্রামের শফিকুলের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৯)। তাদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত রাব্বীকে র্যাব এবং অপর তিনজনকে ডিবি পুলিশ আটক করে।
র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে আড্ডা নামের একটি গ্রুপে রাব্বী হাসানের সঙ্গে শেরপুর উপজেলার এক নারীর যোগাযোগ হয়। একপর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৩ জুলাই দেখা করার কথা বলে রাব্বী ওই নারীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। বিকেলের দিকে ওই নারী শাজাহানপুর উপজেলার বি-ব্লক এলাকায় গেলে রাব্বী তাকে এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রাব্বীসহ তার সহযোগিরা তাঁকে ধর্ষণ করে এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে ধর্ষকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি আপোষ-মিমাংসার চেষ্টা চালানো হয়। বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে এবং শুক্রবার দুপুরে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা রাব্বীকে গ্রেফতার করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ জানান, গণধর্ষণের শিকার ওই নারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ তিনজনকে এবং র্যাব সদস্যরা অপর একজনকে গ্রেফতার করেছে। এবিষয়ে থানায় মামলা দায়েরসহ ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।