আছমাউল আলমঃ
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত।শিক্ষানীতির সুপারিশের ভিত্তিতেই প্রথমত এইচএসসি পাস মহিলা শিক্ষক এবং পরবর্তীতে সমযোগ্যতার পুরুষ -মহিলা উভয়ই কমপক্ষে ২য় শ্রেণির স্নাতক করা হয়।
উক্ত শিক্ষানীতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃজন করার কথাও উল্লেখ রয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষক পদটিও ৩য় শ্রেণি থেকে ২য় শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে।এবং পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-কে ৮ম শ্রেণিতে পরিণত করা হয়েছে।তাই ২০১৩ তে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণসহ এইচএসসি পাসে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল।আবার সর্বশেষ নিয়োগ বিধিতে ফীডার পদে সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা পুরুষ -মহিলা উভয়েরই কমপক্ষে ২য় শ্রেণি।তাই পদোন্নতির ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশ মতে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি ছাড়া পদোন্নতি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
যেহেতু সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধি ২০১৯ এ পদোন্নতির ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ নেই,তাই এসএসসি,এইচএসসি ও স্নাতক,এমনকি এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যন্ত ৩য় বিভাগ পাওয়া সহকারী শিক্ষকগণও পদোন্নতির আওতায় আসবে যা জাতীয় শিক্ষানীতির সাথে সাংঘর্ষিক। তাই প্রাথমিক শিক্ষকরা মনে করে ২০১৯ এর নিয়োগ বিধি দিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা আদৌ সম্ভব নয়।
উল্লিখিত বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনও দ্বিধাগ্রস্ত,এমনকি মামলার হুমকিও ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।তাই প্রায় ১ যুগ পর পদোন্নতির সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপযুক্ত ও টেকসই দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক:সদস্য সচিব
পদোন্নতি বিষয়ক উপ-কমিটি
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি(রেজিঃ নংঃ এস-১৫৩৬(৯৬)/৯৩)।
বাংলাদেশ শিক্ষা/এফএ