সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বিরল প্রজাতির পারুল গাছের বীজ ও শিকড় থেকে ৯ টি চারা উৎপাদন করে সারা ফেলেছেন সজল। কঠোর পরিশ্রম করে সোনাতলার মাটিতেই চারা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেনি তিনি।
এর আগে ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী, উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ কলেজে এসে গাছটির বংশ বিস্তারে চেষ্টা চালালেও তারা হয়েছেন ব্যর্থ। অবশেষে কঠোর পরিশ্রম করে সফর হলেন সজল।
বগুড়ার সোনাতলা সরকারি নাজির আখতার কলেজ চত্বরে রয়েছে বিশাল আকৃতির পারুল গাছ । প্রায় ১শ বছর আগে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও জমি দাতা সৈয়দ নুরুল হুদার পিতা সৈয়দ নাজির আলী ভারতের ভাগলপুরে বিট্রিশ শাসনামলে চাকুরি করা কালে পারুল গাছের দুইটি চারা এনে কলেজ ক্যাম্পাসে রোপন করেন। দুইটি চারার মধ্যে একটি গাছের চারা মারা যায়। আরেকটি গাছ এখনও রয়েছে। গাছটির বয়স প্রায় একশ’ বছর। এটি একটি বিরল প্রজাতির বৃক্ষ। দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় আর কোথাও এই গাছের সন্ধান পাননি উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষকরা।
উপজেলার গড়ফতেপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ আকন্দের জ্যেষ্ঠ পুত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ ও রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে নৌ ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. আজাদুর রহমানের সহযোগিতায় তার ভাই একেএম দিদারুল ইসলাম সজল (৪২) অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা খাটিয়ে ওই বিরল প্রজাতির পারুল গাছের বীজ ও শিকড় থেকে ইতিমধ্যেই ৯টি চারা উৎপাদন করেছেন। নিজ বাড়িতে তিনি প্রায় ৫ বছর আগে চারাগুলো উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে গাছগুলো ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃক্ষ প্রেমিক সজল জানান, বিলুপ্ত প্রজাতির বিরল পারুল গাছটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে শুধু বগুড়ার সোনাতলায় রয়েছে। এই গাছটি এক সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ওই বিরল প্রজাতির বৃক্ষটির সৌন্দর্য দর্শন ও ফুলের সুভাষ উপভোগ থেকে বঞ্চিত হবে। তিনি এই চারাগুরোর মধ্যে থেকে একটি নিজ বাড়িতে এবং অন্যগুলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, জাতীয় যাদু ঘরের সামনে রোপন করতে চান।