GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

 


গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় শাশুড়ি রাশেদা বেগম (৫০) ও ননদ সখি বেগম (২৭) কে হত্যার উদ্দেশ্যে পান ও জর্দার সঙ্গে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে খাওয়ানোর একদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছেন ননদ। গুরুতর অসুস্থ হলেও প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রাণে বেঁচে গেছেন শাশুড়ি। এ ঘটনায় পপি বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে গাবতলী থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে গাবতলী থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাবতলী উপজেলার ধোড়া মধ্যপাড়ার মোজাম্মেল মন্ডলের ছেলে আল আমিনের সঙ্গে বগুড়া সদরের বুজরুকবাড়িয়া কাজীপাড়ার জহুরুল ইসলামের মেয়ে পপি আকতারের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের আতিকা নামে ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বউ ও শাশুড়ির মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। মাঝে মধ্যেই বউ-শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। এমতাবস্থায় ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল ১০ টার দিকে ছেলের বউ পপি বেগম শাশুড়ি রাশেদা বেগমকে (৫০) হত্যার উদ্দেশে পান ও জর্দার মধ্যে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে দেয়। পান খাওয়ার পর শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।

মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে মেয়ে (ননদ) সখি বেগম (২৭) পরদিন বুধবার সকালে মাকে দেখতে আসেন। মাকে দেখতে আসলে সখি বেগমকেও গালিগালাজ করে ভাই বউ পপি বেগম। একপর্যায়ে ননদ সখি বেগমকেও পান ও জর্দার সঙ্গে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। পান খাওয়ার পর সখি বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার বিকেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ননদ সখি বেগম মারা যান। এ ঘটনায় স্বামী আল আমিন বাদি হয়ে শুক্রবার গাবতলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।  গাবতলী মডেল থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার পপি বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top