গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত দুটি মামলায় জামাই রুহুল আমিনকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত সোমবার রুহুল আমিনকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের শ্বশুরবাড়িতে জামাই রুহুল আমিন প্রায়ই যাতায়াত করতেন। এরই এক পর্যায়ে জামাই রুহুল আমিন শাশুড়ির গোসলের আপত্তিকর ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শাশুড়িকে গত ১৩ মার্চ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। গাইবান্ধা শহরের শ্যালিকার বাড়িতে গিয়েও ২০২০ সালে একই রকম ঘটনা ঘটিয়ে তাকে ধর্ষণ চেষ্টার ভিডিও মোবাই ফোনে ধারণ করে। এরপর ওই শ্যালিকাকে কৌশলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সমসপাড়ায় তার ফুফাতো বোনের বাড়িতে নিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই ভিকটিম বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।
গাইবান্ধা র্যাব-১৩ ক্যাম্পে অভিযোগ করা হলে র্যাব সদস্যরা গত রোববার
রুহুল আমিনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাঁটাখালী বালুয়া বাজারের
বীরমুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিন সুপার মার্কেট থেকে গ্রেফতার করে। এসময় তার
কাছ থেকে মোবাইলে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ মোবাইল ফোনটি জব্দ
করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই আরিফুল
ইসলাম জানান, পৃথক দুই মামলায় আসামি রুহুল আমিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ
আদালতে উপস্থিত করা হয়। এসময় আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ’সহ
রিমান্ড শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।