GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

পাবনা প্রতিনিধি: কনের বাবার বাড়িতে বরযাত্রীদের খাওয়া-দাওয়া শেষ। এরআগে সেরে ফেলা হয় বিয়ের পর্বটিও। তবে কনেকে শ্বশুরবাড়ি নেয়ার আগ মুহূর্তে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের উপস্থিতি মাত্রই পালাতে থাকেন বরযাত্রীরা। বর ইব্রাহিম হোসেনও (২২) কিশোরী বউকে রেখে পালিয়ে যান। তবে আটক হন ঘটক।
রোববার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর ইব্রাহিম হোসেন সাঁথিয়ার ফকিরপাড়া গ্রামের ফজর প্রামাণিকের ছেলে। আর কনে মো. রিপন আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম জামাল আহমেদ জানান, করমজায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ের খবর আসে। এরপরই সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান পুলিশ ফোর্সসহ মেয়ের বাবা মো. রিপন আলীর বাড়িতে যান। কিন্তু তারা পৌঁছার আগেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর-কনে ও যাত্রীরা পালিয়ে যান। তবে ঘটককে পুলিশ আটকাতে সক্ষম হয়। ঘটকের তথ্যমতে বর-কনেকে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে পাওয়া যায়। এসময় বর ঘরের জানালা দিয়ে ভেঙে পালিয়ে যান। কনেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান জানান, সরকারি বিধি উপেক্ষা করে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে বিয়ে দেয়ায় মেয়ের বাবা এবং বর-কনেকে আশ্রয়দানকারী প্রতিবেশী আব্দুল মতিন ও ঘটককে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন সাঁথিয়া থানার পুলিশ সদস্যরা। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন।
Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top