বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলা শহরের বাদুরতলার এক সময়ের চিহ্নিত মাদক কারবারি আখতার বানু। মাদক মামলায় এক বছরে সাজা খেটে বের হয়েছেন বেশ কিছুদিন আগে। এখন আর মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত নেই তিনি। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই শিখেছেন সেলাই মেশিনের কাজ।
কিন্তু নিজের সামর্থ ছিল না সেলাই মেশিন কেনার। তাই অন্যের দোকানে দর্জির কাজ করতেন। তবে এখন থেকে আর অন্যের দোকানে কাজ করবেন না আখতার বনু। মাদক কারবার ছেড়ে দেওয়ায় পুনর্বাসনের জন্য পেলেন একটি সেলাই মেশিন। সেই সেলাই মেশিনে বাড়িতে বসে কাজ করবেন আখতার বানু।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বগুড়া পুলিশ লাইন্স মাঠে জেলা পুলিশ আয়োজিত মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে আখতার বানুকে পুনর্বাসনের জন্য একটি সেলাই মেশিন দেওয়া হয়।
সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে ৫০ জন পুরুষকে ৫০টি ভ্যান ও ১৫ জন নারীকে ১৫টি সেলাই মেশিন হস্তান্তর করেন। এই ৬৫ জন নারী পুরুষ সকলেই মাদক কারবারি ছিলেন। তারা মাদক কারবার ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন।
সোনাতলা উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের গোলাপী বেগম জানান, তিনি এক সময় গাঁজা বিক্রি করতেন। গাঁজা কারবারে জড়িয়ে ইয়াবা বিক্রি শুরু করেন। মাদক কারবার করতে গিয়ে তিনি চার বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন, সেলাই মেশিন পাওয়ার পর বাড়িতে বসে দর্জির কাজ করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আনবেন।
বগুড়া সদরের সুলতানগঞ্জ পাড়ার আমিন মিয়ার নামে ছিল ১০টি মাদকের মামলা। তিনি জানান, মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিলেও গ্রামের কেউ বিশ্বাস করতে চান না। এ কারণে তাকে কেউ কাজেও নিতে চায় না। ভাড়ায় ভ্যান রিকশা চালাবেন সেটিও পাচ্ছিলেন না। এরকম সময় জেলা পুলিশের মাধ্যমে নতুন ভ্যানগাড়ি পাওয়ায় তিনি বেশ খুশি। আমিন মিয়া বলেন, এখন আর কারো দুয়ারে কাজের জন্য ধর্ণা দিতে হবে না।