বিশ্ববার্তা ডেস্কঃ রীতিমতো চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে একসঙ্গে পথ চলা শুরু করল এক দম্পতি। মাসে একবার পিৎজা খাওয়া এবং ১৫ দিন অন্তর স্ত্রীকে শপিংয়ে নেওয়ার শর্তে বরের হাতে হাত রাখলেন এক কনে। চাঞ্চল্যকর এই বিয়ের ঘটনা ঘটেছে ভারতের আসামে। রোববার (১৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রীতিমতো চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে গত ২১ জুন একসঙ্গে পথ চলা শুরু করেছে ভারতের আসামের এক দম্পতি। আটটি শর্ত মেনে চলার লিখিত অঙ্গীকারে দাম্পত্য জীবন শুরু হয়েছে বর-কনের জীবনের নতুন ইনিংস।
স্বাভাবিক ভাবেই বিয়ের এমন আশ্চর্য এক চুক্তিপত্র ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে। গত ২১ জুন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার একদিন পর চুক্তির মাধ্যমে বিয়ের সেই ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয়। আর এরপরই অভিনব চুক্তিতে নবদম্পতির বিয়ের ১৬ সেকেন্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে ভাইরাল হয়ে যায়।
ব্যতিক্রমী এই বিয়ের কনের নাম শান্তি প্রসাদ। ২৪ বছর বয়সী এই কনে রীতিমতো পিৎজাপ্রেমী। অন্যদিকে তার বর ২৪ বছর বয়সী মিন্টু রায়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের গুয়াহাটিতে প্রথা মেনেই তাদের বিয়ে হলেও আনুষ্ঠানিকতার ব্যতিক্রমী অংশ ছিল ওই চুক্তিপত্র।
একসময় একই কলেজের বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থী নববিবাহিত এই দম্পতির চুক্তির বিয়েতে কী নেই শর্তের তালিকায়? বাড়ির খাবার খাওয়া বাধ্যতামূলক করা থেকে শুরু করে ১৫ দিন অন্তর শপিং যাওয়া, চোখ কপালে তোলাসহ নানা শর্তের সমাহার ওই তালিকা। ঠিক কী কী শর্ত মেনে সম্পন্ন হলো চুক্তি? কনের বেঁধে দেওয়া শর্তগুলো হলো-
১. মাসে একটাই পিৎজা খাওয়া যাবে।
২. ঘরের খাবারে কখনও ‘না’ বলা যাবে না।
৩. কনেকে প্রতিদিন শাড়ি পরতে হবে।
৪. লেট নাইট পার্টি করাই যাবে। কিন্তু তা করতে হবে একে-অপরের সঙ্গেই।
৫. নিয়মিত জিমে যেতে হবে।
৬. স্বামীকে প্রতি রোববার প্রাতঃরাশ বানাতে হবে।
৭. প্রতিটি পার্টিতে স্ত্রীর ভালো ছবি তুলে দিতে হবে স্বামীকে।
৮. ১৫ দিন অন্তর বউকে শপিং করাতে নিয়ে যেতে হবে।
‘ওয়েডলক ফটোগ্রাফি’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম পেজে শেয়ার করা হয়েছে ওই চুক্তি স্বাক্ষরের ভিডিওটি। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনকে সাক্ষী রেখে নতুন জীবন শুরু করে ওই দম্পতি। প্রথা অনুযায়ী মালাবদলের পরই তাদের দেখা গেল চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে।
অবশ্য বিয়ের এমন ভিডিও ও চুক্তিপত্রের সন্ধান পেয়ে অনেকেই অবাক। অনেকেই আবার নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন ভিডিওটি দেখার পর। একজন লিখেছেন, ‘বিয়ে কোথায়, এ তো শর্ত। শেরওয়ানি পরেই তাতে স্বাক্ষর করা হলো।’
আবার এক নারী জানান, বাকি সব শর্তই তার পছন্দ হয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন শাড়ি পরা অসম্ভব। আবার বহু পুরুষ রীতিমতো জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতি ১৫ দিন পর পর স্ত্রীকে নিয়ে শপিংয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।