জামালপুরের সদর উপজেলায় তরুণীর কাপড় পরিবর্তনের ভিডিও ধারন করে ব্লাকমেইল করার অপরাধে মারুফ নামে এক ইভটিজারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের জেল প্রদান করা হয়েছে।
গত শনিবার মধ্যরাতে উপজেলার বামুনপাড়া বিট পুলিশিং কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এ সাজা প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান।
মারুফ জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের আমেত্তি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মনোহরের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযুক্ত মারুফ আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে এসে সাইফুল নামে এক যুবকের সহায়তায় শনিবার মধ্য রাতে তিরুথা বটতলা এলাকায় এক তরুণীর গোপনে কাপড় পাল্টানোর ভিডিও ধারণ করে। পরে এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তরুণীকে। বিষয়টি ভুক্তভোগী তরুণী তার বাবা-মাকে জানালে ছেলের উত্তেজক কথাগুলো রেকর্ড করা হয়। এরপর ছেলেটিকে ধরতে ফাঁদ পাতা হয়। ছেলেটির শর্ত অনুযায়ী মেয়েটি তার সাথে দেখা করতে যায়। ছেলেটি তার সহযোগিদের নিয়ে যেই অটোরিক্সায় মেয়েটিকে তুলে, তখনই পুলিশ প্রধান ইভটিজারকে ধরতে সক্ষম হয়। প্রধান ইভটিজারকে ধরতে পারলেও অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
জামালপুর জেলা মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, বিষয়টি তরুণীটির পিতা-মাতার নিকট থেকে যখন শুনতে পাই তখনই ছেলেটিকে ধরতে ফাঁদ পাতি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে ধরতে সক্ষম হই।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান বলেন, ছেলেটি দোষ শিকার করে নেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।