আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘির বিভিন্ন গ্রামে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারধরে পুরুষ ও নারীসহ অন্তত: ৯জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ডহরপুর গ্রামের জলিল নামের এক ব্যক্তির ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে উপজেলার ডহরপুর গ্রামের আব্দুল জলিল (৩৬), তেতুলিয়া গ্রামের হাবিল মন্ডল (৪৯) ও আছাবালি (৬৬). উজ্জলতা গ্রামের মাজেদুল (৩৫) ও বিনাহালি গ্রামের স্বপন (১৬) কে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত দুই দিনে এসব মারধরের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে আদমদীঘি উপজেলার ডহরপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের সাথে মিঠু নামের ব্যক্তির জমিতে পানি সেচ নিয়ে বিরোধ চলে। এর জের ধরে বিকেলে আব্দুল জলিল তার স্বশুর বাড়ি থেকে জমির ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে ডহরপুর নিজ বাড়ি ফেরার পথে মিঠু ও তার লোকজন আব্দুল জলিলের পথরোধ করে তাকে মারধর ও তার কাছে থাকা উল্লেখিত টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ আব্দুল জলিলের।
এসময় এক নারীও মারধরের শিকার হন। ওই দিন বিনাহালি গ্রামে শিশুদের সাথে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা স্বপনকে মারধর করে। এদিকে গতকাল রোববার সকালে তেতুলিয়া গ্রামে বাড়ির উঠানে খড়ের পালা দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারধরের ঘটনায় হাবিল মন্ডল, আছাবালি মন্ডলসহ চারজন আহত হয়। উজ্জলতা গ্রামে পালিত হাঁস মেরে ফেলার প্রতিবাদ করায় মাজেদুর রহমান ও তার স্ত্রী মারধরে শিকার হন। এসব ঘটনায় থানায় এখনও কোন অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি বলে ওসি রেজাউল করিম জানান।