GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

কুমিল্লা: তীব্র তাপপ্রবাহে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে ক্লাস শুরু হয়। এদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে। এসময় অসুস্থ হয়ে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার, সপ্তম শ্রেণির ফাহিমা আক্তার, অষ্টম শ্রেণির উর্মি আক্তার, হ্যাপি আক্তার, সামিয়া সায়মা, নবম শ্রেণির মারিয়া আক্তার ও আরও এক শিক্ষার্থী। তারা মেঝেতে শুয়ে পড়ে। এসময় তাদের মাথায় পানি ঢালা ও গায়ে বাতাস করা হয়। পরে অভিভাবকদের ডেকে ওই শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।


তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা আক্তার বলেন, ক্লাস চলাকালীন কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তৃতীয় বিষয়ের ক্লাস শেষ হওয়ার পর স্কুল ছুটি দেওয়া হয়।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী ফরিদ আহমেদ বলেন, তায়মোস বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে জেনেছি। ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছি। আর কোথাও কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাইনি।

বরিশাল: জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহে স্কুল চলাকালীন সময়ে একটি বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে নগরীর জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, তীব্র গরমের মধ্যে জেলার অন্যান্য স্কুলের মতো নগরীর জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে সকাল ১০টায় ক্লাস শুরু হয়। এদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতিও ছিল মোটামুটি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এর মধ্যে আবার লোডশেডিং হয়। এক পর্যায়ে ক্লাস চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণ পর ৭ম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীও অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের টিচার্স রুমে এনে শরবত, স্যালাইন ও মাথায় পর্যাপ্ত পানি দেওয়ার পর কিছুটা স্বস্তি ফিরলে অভিভাবককে ডেকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রথম ক্লাস থেকেই পেটে ব্যথা, মাথা ব্যথা ও বমি বমি ভাব হচ্ছিল। হঠাৎ লোডশেডিং হলে কিছুক্ষণের মধ্যে গরম বেড়ে যায়। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ি।

জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক কাওসার হোসেন শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, এক একটি শ্রেণী কক্ষে ৪০/৫০ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করছিল। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমের ফলে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে যায়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের অভিভাবকদের ডেকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মো. বশির আহাম্মেদ জানান, সোমবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৩৮ দশমিক ০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top