চেতনা বার্তা ডেস্কঃ আগামী
নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার বনানীর কার্যালয়ে দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি উদ্বোধনের
পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা
করেন তিনি, সিদ্ধান্ত ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তনের জন্য যার ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার পর এরশাদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। তিনি মনে করছেন, দুই দলের হাত থেকে ‘মুক্তি’ পেতে জনগণ এখন তার দিকেই তাকিয়ে আছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির জন্য অপেক্ষা করতে না চাইলেও প্রধান বিরোধী দলকে নির্বাচনে তিনিও চান। এক্ষেত্রে তাদের প্রতি একাধিকবার আহ্বান জানানোর কথাও তুলে ধরেন তিনি।
বুধবার দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রির মধ্য দিয়ে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করল বর্তমান সংসদে ৩০টি আসনধারী জাতীয় পার্টি, যাদের চেয়ে কয়েকটি আসন বেশি আছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির।
ফরম বিক্রি উপলক্ষে জমজমাট দলীয় কার্যালয়ে বিকালে ঢুকেই নিজের জন্য একটি ফরম তোলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। কালো স্ট্রাইপের সাফারি স্যুট পরা এরশাদের গলায় বাঁধা ছিল কালো রঙের একটি স্কার্ফ।
ফরম বিতরণ উদ্বোধনের পর কার্যালয়ে নিজের কক্ষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলেন এরশাদ। চলমান রাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন তিনি।
বিএনপির জন্য অপেক্ষা না করে নির্বাচনে যাওয়ার নতুন সিদ্ধান্ত কেন- জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আমি আমার দলের রাজনীতি করি। অন্য কারো রাজনীতি করি না। আমি অপেক্ষা করেছি বেশ কিছুদিন। আর অপেক্ষা করতে পারলাম না।
“আমি তাদের (বিএনপি) বলেছিলাম- বাইরে বসে থেকে লাভ নেই, আলোচনায় আসুন, কী দাবি, তা জানান। এর আগে তাদের চিঠিও দিয়েছিলাম। তারা আসলেন না। আলোচনায় বসলেন না।”
“টাইম অ্যান্ড টাইড ওয়েট ফর নান। সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। আমার সময় নেই।”
তারপরও বিএনপিকে নির্বাচনে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন,“দেখ, আমার দিক থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। আমি বারবার চেয়েছি এবং এখনো চাই, বিএনপি নির্বাচনে আসুক।”
গত কিছুদিন ধরে দলের কয়েকটি কর্মসূচিতে এরশাদ বলেছিলেন, বিএনপিসহ সব দল অংশগ্রহণ না করলে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তার ওই ঘোষণার পর অবশ্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সন্দেহ পোষণ করে বলেছিলেন, এরশাদের কথার ‘ঠিক’ নেই।
এরপর নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায়’ জাতীয় পার্টির পাঁচ নেতা শপথও নেন। এই সরকারে যোগ দিতে নারাজ বিএনপিকেও যোগ দেয়ার আহ্বান জানান এরশাদ।
সিদ্ধান্ত বদলের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, “গতকাল প্রেস কনফারেন্সে বলেছি, এখনো বলছি- নির্বাচন না করলে দল থাকে না, কর্মী থাকে না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। আমাকে তো আমার দল টিকিয়ে রাখতে হবে, কর্মীদের সক্রিয় রাখতে হবে।”
দেশের মানুষ ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
“দেখতেই তো পাচ্ছেন, কী অভূতপূর্ব উৎসবমুখর পরিবেশে পার্টির নেতা-কর্মীরা আবেদনপত্র সংগ্রহ করছে।”
১০
হাজার টাকায় মনোনয়নের আবেদনপত্র কিনতে সকাল থেকেই জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। মনোনয়ন ফরমের দাম
২০ হাজার টাকার ঘোষণা থাকলেও এরশাদ তা অর্ধেক করে দিয়েছেন। জাতীয়
পার্টি অফিস সংলগ্ন সড়কে বাদক দল বাজনা বাজাচ্ছে, এর মধ্যে স্লোগান চলছে দলীয়
প্রতীক লাঙল ও নেতা এরশাদের নামে।
দুই যুগ আগে দুই নেত্রীর নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সামরিক শাসক এরশাদ মনে করেন, দুই দলের হানাহানিতে এখন দেশের মানুষ তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
“জনগণ শান্তি চায়, এই দুই দলের শাসন থেকে মুক্তি চায়। আমার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। লাঙ্গলের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে এসেছে। এবার আমি এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।”
জয়ের আশাবাদ জানিয়ে এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি। তিনি ঢাকা-১৭, রংপুর-১ ও রংপুর-৩ এই তিনটি আসনে প্রার্থী হবেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার পর এরশাদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। তিনি মনে করছেন, দুই দলের হাত থেকে ‘মুক্তি’ পেতে জনগণ এখন তার দিকেই তাকিয়ে আছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির জন্য অপেক্ষা করতে না চাইলেও প্রধান বিরোধী দলকে নির্বাচনে তিনিও চান। এক্ষেত্রে তাদের প্রতি একাধিকবার আহ্বান জানানোর কথাও তুলে ধরেন তিনি।
বুধবার দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রির মধ্য দিয়ে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করল বর্তমান সংসদে ৩০টি আসনধারী জাতীয় পার্টি, যাদের চেয়ে কয়েকটি আসন বেশি আছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির।
ফরম বিক্রি উপলক্ষে জমজমাট দলীয় কার্যালয়ে বিকালে ঢুকেই নিজের জন্য একটি ফরম তোলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। কালো স্ট্রাইপের সাফারি স্যুট পরা এরশাদের গলায় বাঁধা ছিল কালো রঙের একটি স্কার্ফ।
ফরম বিতরণ উদ্বোধনের পর কার্যালয়ে নিজের কক্ষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলেন এরশাদ। চলমান রাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন তিনি।
বিএনপির জন্য অপেক্ষা না করে নির্বাচনে যাওয়ার নতুন সিদ্ধান্ত কেন- জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আমি আমার দলের রাজনীতি করি। অন্য কারো রাজনীতি করি না। আমি অপেক্ষা করেছি বেশ কিছুদিন। আর অপেক্ষা করতে পারলাম না।
“আমি তাদের (বিএনপি) বলেছিলাম- বাইরে বসে থেকে লাভ নেই, আলোচনায় আসুন, কী দাবি, তা জানান। এর আগে তাদের চিঠিও দিয়েছিলাম। তারা আসলেন না। আলোচনায় বসলেন না।”
“টাইম অ্যান্ড টাইড ওয়েট ফর নান। সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। আমার সময় নেই।”
তারপরও বিএনপিকে নির্বাচনে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন,“দেখ, আমার দিক থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। আমি বারবার চেয়েছি এবং এখনো চাই, বিএনপি নির্বাচনে আসুক।”
গত কিছুদিন ধরে দলের কয়েকটি কর্মসূচিতে এরশাদ বলেছিলেন, বিএনপিসহ সব দল অংশগ্রহণ না করলে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তার ওই ঘোষণার পর অবশ্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সন্দেহ পোষণ করে বলেছিলেন, এরশাদের কথার ‘ঠিক’ নেই।
এরপর নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায়’ জাতীয় পার্টির পাঁচ নেতা শপথও নেন। এই সরকারে যোগ দিতে নারাজ বিএনপিকেও যোগ দেয়ার আহ্বান জানান এরশাদ।
সিদ্ধান্ত বদলের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, “গতকাল প্রেস কনফারেন্সে বলেছি, এখনো বলছি- নির্বাচন না করলে দল থাকে না, কর্মী থাকে না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। আমাকে তো আমার দল টিকিয়ে রাখতে হবে, কর্মীদের সক্রিয় রাখতে হবে।”
দেশের মানুষ ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
“দেখতেই তো পাচ্ছেন, কী অভূতপূর্ব উৎসবমুখর পরিবেশে পার্টির নেতা-কর্মীরা আবেদনপত্র সংগ্রহ করছে।”
দুই যুগ আগে দুই নেত্রীর নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সামরিক শাসক এরশাদ মনে করেন, দুই দলের হানাহানিতে এখন দেশের মানুষ তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
“জনগণ শান্তি চায়, এই দুই দলের শাসন থেকে মুক্তি চায়। আমার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। লাঙ্গলের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে এসেছে। এবার আমি এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।”
জয়ের আশাবাদ জানিয়ে এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি। তিনি ঢাকা-১৭, রংপুর-১ ও রংপুর-৩ এই তিনটি আসনে প্রার্থী হবেন।