চেতনা বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের
অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা মারা গেছেন। ৯৫ বছর বয়সে জোহানেসবার্গের
হাউটন শহরতলির নিজ বাসভবনেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিশেষ
ব্যবস্থায় নিবিড় চিকিৎসার অধীনে ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের জটিলতায়
ভুগছিলেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন।
অসুস্থতার কারণে প্রিটোরিয়ার মেডিক্লিনিক হাসপাতালে প্রায় তিন মাস চিকিৎসা নেয়ার পর ১ সেপ্টেম্বর বাড়িতে ফেরেন নেলসন ম্যান্ডেলা।
টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জুমা বলেন, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে। তিনি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন এবং যতোদিন না পর্যন্ত নেলসন ম্যান্ডেলার সমাধি হবে ততোদিন পতাকা অর্ধনমিত রাখার জন্য ঘোষণা দেন জ্যাকব জুমা।
দক্ষিণ আফ্রিকার জনতাকে উদ্দেশ করে জ্যাকব জুমা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, আমাদের সবার প্রিয় নেলসন ম্যান্ডেলা চলে গেছেন। নিজের বাড়িতেই শান্তিপূর্ণভাবে তিনি মারা গেছেন। তার বিদায়ে আমাদের জাতি হারিয়েছে তার শ্রেষ্ঠ সন্তান, আমাদের জনতা হারিয়েছে পিতার মতো এক আশ্রয়।
জ্যাকব জুমা বলেন, আমরা জানতাম যে, বিদায়ের এই দিন একদিন আসবে। কিন্তু তবুও তার বিদায়ে আমরা যে গভীর বেদনা পেয়েছি, যে অপূরণীয় ক্ষতি আমাদের হয়েছে তা কিছুতেই কমানো সম্ভব নয়।
‘মাদিবা’ নামে ভক্তদের কাছে পরিচিত ম্যান্ডেলার উত্থান অজ গ্রামীণ জীবন থেকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জাতির জনক হিসেবে খ্যাত ম্যান্ডেলা ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এর আগে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করেন তিনি।
নেলসন ম্যান্ডেলার জন্ম ১৯১৮ সালে ১৮ জুলাই। দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯৪৮ এর নির্বাচনে বর্ণবাদী বিশ্বাসী ও বিভিন্ন জাতিকে আলাদা করার পক্ষপাতী দল ন্যাশনাল পার্টি জয়লাভ করে। ন্যাশনাল পার্টির ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপটে নেলসন ম্যান্ডেলা সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের ১৯৫২ সালের অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৫ সালে জনগণের সম্মেলনে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের মূল ভিত্তি মুক্তি সনদ প্রণয়ন করেন তিনি।
তার নেতৃত্বেই গত শতকের নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘটে শেতাঙ্গ শাসনের আধিপত্যের অবসান।
নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুতে বিশ্বনেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, একজন মানুষ যা অর্জন করতে পারে নেলসন ম্যান্ডেলা তার থেকেও বেশি কিছু অর্জন করেছেন। তিনি অন্যদের স্বাধীনতার জন্য নিজের স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন।
অসুস্থতার কারণে প্রিটোরিয়ার মেডিক্লিনিক হাসপাতালে প্রায় তিন মাস চিকিৎসা নেয়ার পর ১ সেপ্টেম্বর বাড়িতে ফেরেন নেলসন ম্যান্ডেলা।
টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জুমা বলেন, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে। তিনি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন এবং যতোদিন না পর্যন্ত নেলসন ম্যান্ডেলার সমাধি হবে ততোদিন পতাকা অর্ধনমিত রাখার জন্য ঘোষণা দেন জ্যাকব জুমা।
দক্ষিণ আফ্রিকার জনতাকে উদ্দেশ করে জ্যাকব জুমা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, আমাদের সবার প্রিয় নেলসন ম্যান্ডেলা চলে গেছেন। নিজের বাড়িতেই শান্তিপূর্ণভাবে তিনি মারা গেছেন। তার বিদায়ে আমাদের জাতি হারিয়েছে তার শ্রেষ্ঠ সন্তান, আমাদের জনতা হারিয়েছে পিতার মতো এক আশ্রয়।
জ্যাকব জুমা বলেন, আমরা জানতাম যে, বিদায়ের এই দিন একদিন আসবে। কিন্তু তবুও তার বিদায়ে আমরা যে গভীর বেদনা পেয়েছি, যে অপূরণীয় ক্ষতি আমাদের হয়েছে তা কিছুতেই কমানো সম্ভব নয়।
‘মাদিবা’ নামে ভক্তদের কাছে পরিচিত ম্যান্ডেলার উত্থান অজ গ্রামীণ জীবন থেকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জাতির জনক হিসেবে খ্যাত ম্যান্ডেলা ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এর আগে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করেন তিনি।
নেলসন ম্যান্ডেলার জন্ম ১৯১৮ সালে ১৮ জুলাই। দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯৪৮ এর নির্বাচনে বর্ণবাদী বিশ্বাসী ও বিভিন্ন জাতিকে আলাদা করার পক্ষপাতী দল ন্যাশনাল পার্টি জয়লাভ করে। ন্যাশনাল পার্টির ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপটে নেলসন ম্যান্ডেলা সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের ১৯৫২ সালের অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৫ সালে জনগণের সম্মেলনে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের মূল ভিত্তি মুক্তি সনদ প্রণয়ন করেন তিনি।
তার নেতৃত্বেই গত শতকের নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘটে শেতাঙ্গ শাসনের আধিপত্যের অবসান।
নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুতে বিশ্বনেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, একজন মানুষ যা অর্জন করতে পারে নেলসন ম্যান্ডেলা তার থেকেও বেশি কিছু অর্জন করেছেন। তিনি অন্যদের স্বাধীনতার জন্য নিজের স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়েছেন।