চেতনা বার্তা ডেস্কঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির
সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের ৯৫
শতাংশ মানুষ প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দেয়নি। তিনি বলেন, গায়ের জোরে যারা
ক্ষমতায় বসেছেন তাদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শহীদ প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ দাবি করে বলেন, বিএনপির আন্দোলন সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। তিনি বলেন, এই নির্বাচন ছিল প্রার্থীবিহীন, ভোটারবিহীন নির্বাচন। অনেক কেন্দ্রে ভোটই পড়েনি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে বাকশালী শাসনে অন্তরীণ করছে। অতীতে যেমন সফল হয়নি, এবারো তা সফল হবে না।
মোশাররফ বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যে সঠিক ছিলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়েছে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলকে স্বর্ণযুগ উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, জিয়াউর রহমান তাঁর অল্প সময়ে সু-শাসনের জন্য দেশে-বিদেশে সমাদৃত। তাঁর ৭৮তম জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রখ্যাত এই রাষ্ট্র বিজ্ঞানী বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসাবে জিয়াউর রহমানের নাম অক্ষয়, অজেয় হয়ে থাকবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান চিরস্মরণীয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে স্বৈরাচারী আচরণের ডালপালা বিস্তৃত করেছে।
বিরুদ্ধ মতকে দমনে সরকার চরম স্বৈরপন্থা বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে প্রেসক্লাব সভাপতি বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা যায় না। তিনি সাংবাদিক হয়রানি না করা এবং অবিলম্বে সব বন্ধ মিডিয়া খুলে দেবার জোর দাবি জানান।
জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহফুজুল্লাহ বলেন, অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রথা, প্রতিষ্ঠান রক্ষার সূচনা জিয়াউর রহমানের হাতেই হয়েছিলো। তিনি সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিবাদ ও গণতন্ত্র একসাথে চলতে পারে না।
ড: পিয়াস করিম বলেন, ১৯৭১ সালে জনগণ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে দেশকে ভারতের কলোনিতে পরিণত হবার জন্য নয়। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে এভাবে জোর করে ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনার স্বৈর সরকার বেশি দিন টিকবে না।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি বলবো, হতাশার কিছু নেই। আসুন আজকে শপথ নেই যতদিন না আন্দোলন সফল হবে ততদিন পর্যন্ত লড়াই করবো।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য মোস্তাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার প্রমুখ।