চেতনা বার্তা ডেস্কঃ দেশে প্রথমবারের মতো ব্রয়লার মুরগি উদ্ভাবনে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এতে বিদেশী ব্রয়লার আমদানিতে ব্যয় হওয়া
প্রায় ৯০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
দুই দশক ধরে বাংলাদেশে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে ব্রয়লার মুরগি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, যা পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। প্রতি বছর
ব্রয়লার মুরগির প্যারেন্ট বা গ্র্যান্ডপ্যারেন্ট আমদানি করতে ব্যয় হয় প্রায়
৯০ কোটি টাকা। আমদানি করা ব্রয়লার দেশের আবহাওয়ার সাথে খাপ খায় না বলে রোগ
বেশি হয় এবং উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যায়। এ ছাড়া প্রচলিত ব্রয়লারের গোশত নরম ও
দেশী মুরগির মতো সুস্বাদু না হওয়ায় অনেকে পছন্দ করেন না।
ব্রয়লার মুরগির
আমদানিনির্ভরতা কমাতে ও সুস্বাদু গোশতের দ্রুত বর্ধনশীল উন্নত জাতের
ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনের ল্েয দেশে প্রাপ্ত মুরগির জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উন্নতমানের সুস্বাদু ব্রয়লার মুরগির দু’টি (সাদা ও
রঙিন) জাত (স্ট্রেইন) উদ্ভাবনে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল পোলট্রি গবেষক। উদ্ভাবিত জাত দু’টির নাম
রাখা হয়েছে বাউ- ব্রো হোয়াইট ও বাউ- ব্রো কালার। বৃহস্পতিবার নতুন উদ্ভাবিত
ব্রয়লার মুরগির জাত দু’টির উদ্ভাবক অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী ও সহযোগী অধ্যাপক
ড. বজলুর রহমান মোল্যা সেমিনারে এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অর্থায়নে চার বছর মেয়াদি
প্রকল্পের আওতায় এ জাত দু’টি উদ্ভাবন করা হয়। গবেষণার ফলাফল তুলে ধরতে এক
সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল
ওয়াদুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল
হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাউরেস পরিচালক ড. লুৎফুল হাসান, বিএআরসির সদস্য
পরিচালক মো: খাইরুল বাশার উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন
করেন পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আশরাফ আলী। এ ছাড়াও উপস্থিত
ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো: সুলতান উদ্দীন ভূঞা, পশুপালন অনুষদের
সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আলী আকবর, বিএআরসির মুখ্য গবেষক ড. জিকরুল হক চৌধুরী
প্রমুখ। গবেষণার ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ
কর্মকর্তা (লিয়েন) গোলাম আজম।