রবীন্দ্রনাথের চিরায়ত সৃষ্টি ‘চিত্রাঙ্গদা’-র গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। প্রদর্শনীতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটের প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। কিংবদন্তি শিল্পী সুচিত্রা সেন-কে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানতে মঞ্চায়নের পূর্বে স্বপ্নদল-এর পক্ষ থেকে তাঁর জীবন ও শিল্পকর্ম সম্পর্কিত তথ্যাবলী উপস্থাপন করা হবে।
রবীন্দ্রনাথ মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা-উপাখ্যান অবলম্বনে কিছু রূপান্তরসহ দুই ভিন্ন সময়ে এবং দু’টি আলাদা আঙ্গিকে ‘চিত্রাঙ্গদা’ রচনা করেছিলেন। ১৮৯২-এ তাঁর একত্রিশ বছর বয়সে রচনা করেন কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ এবং এর প্রায় চুয়াল্লিশ বছর পরে ১৯৩৬-এ পঁচাত্তর বছর বয়সে রচনা করেন নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’। নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ সুপরিচিত এবং এটি দেশে-বিদেশে অসংখ্যবার মঞ্চায়িত হয়েছে।
চিত্রাঙ্গদা নিয়ে জাহিদ রিপন বলেন, ‘স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি নির্মিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ পান্ডুলিপিটি অবলম্বনে এবং স্বপ্নদলের পূর্বে কখনোই আধুনিক মঞ্চে কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’-র নিয়মিত মঞ্চায়নের তথ্য পাওয়া যায় না। তাই বলা যায়, রচনার ১১৯ বছর পরে ২০১১-এ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত হয়ে এবং নিয়মিতভাবে এ পর্যন্ত ২৯টি মঞ্চায়নের মাধ্যমে স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠেছে।
‘চিত্রাঙ্গদা’ পৌরাণিক কাহিনির আড়ালে আধুনিক সময়ে নর-নারীর মনোদৈহিক সম্পর্ক, পারস্পরিক সম্মানাবস্থানের প্রেরণা এবং পাশাপাশি অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রতীকরূপে রচিত হয়েছে। এর নাট্যকাহিনিতে উপস্থাপিত হয় এ সত্য- বাহ্যিক রূপের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যাবান নারী-পুরষের চারিত্রশক্তি এবং এতেই প্রকৃতপক্ষে আত্মার স্থায়ী পরিচয়!
‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনার অভিনয় শিল্পীরা হলেন- সুকন্যা আমীর, ফারজানা রহমান মিতা, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান রেজাউল, শিশির সিকদার, সামাদ ভূঞা, মাধূরী বেপারী সুমি, এনামুল হক শাহীন, সাইফুন নেসা জেবু, রেজাউল মাওলা নাবলু, শারীফা রিমু, আলী হাসান, বিমল দাশ, সাইদ মাহবুব প্রমুখ।