চেতনা বার্তা ডেস্কঃ ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এই
মাসেই নতুন সরকার গঠনের দিকে এগিয়ে গেলেও নির্বাচনে ২৪টি মৃত্যু, কম
ভোটারের উপস্থিতি, জাল ভোট এবং বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের কারনে পশ্চিমা
বিশ্বের কাছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী টেলিভিশন আল জাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এ কথা বলা হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ বলা হয়েছে, উদ্বিগ্ন রাজনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের একটি নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদলের মধ্যে কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিরোধীদল আন্দোলনে অনড় এবং সরকার আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ভীত নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্রুত আরেকটি নির্বাচন প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা আল-জাজিরার সাথে আলাপকালে একমত হয়েছেন যে বাংলাদেশ সরকারের উচিত পশ্চিমা বিশ্বের পরামর্শ মেনে নেয়া এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে নতুন নির্বাচন দেয়া।
টিআইবির ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যকতা হলেও রাজনৈতিক ও নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রধান দুই দল একটি সমঝোতায় আসবে না হলেও অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় আসতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার বলেছেন, সর্বশেষ নির্বাচন ছিল গণতান্ত্রিক মূল্যহীন এবং বহুদলের অংশগ্রহণ ছাড়া। একাদশ সংসদ নির্বাচন আশু প্রয়োজন। আমি আশা করি ক্ষমতাসীন দল ১০ম সংসদ নির্বাচনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘায়িত করবে না।
নির্বাচন বর্জনকারী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান বলেছেন, চলমান সংকট সমাধানে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হওয়াতে আমরা নির্বাচনে যাই নি। সরকারকে দ্রুতই আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে তা না হলে বাংলাদেশের শত্রুরা পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগাবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের একদিনের মধ্যে সরকার এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ বলেছেন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের জনগণের আকাঙক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়াতে ওয়াশিংটন হতাশ। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং বিরোধী দলের প্রতি আহবান জানিয়েছে দ্রুত একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য।
বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারনেস ওয়ার্সি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের প্রকৃত আকাঙক্ষার প্রকাশ ঘটা উচিত।
কমনওয়েলথ সেক্রেটারীও নির্বাচনকে ভোটারের নিম্নমাত্রার অংশগ্রহণ ও কম ভোটারের উপস্থিতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
জাতিসংঘের মহা সচিব বান কি-মুনও শান্তিপূর্ণ ও সবদলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়াতে হতাশ।
নির্বাচনকে সাংবিধানিক বাধ্যকতা উল্লেখ করলেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবর উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য দেশটির নিজেদের পথেই অগ্রসর হতে হবে।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বলা হয়েছে, ভোটার উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কম। নির্বাচনের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত অনেক কেন্দ্রে ৩ হাজার ভোটারের মধ্যে ২০ থেকে ৩০টি ভোট পড়তে দেখা গেছে।
রাজধানীর গে-ারিয়া এলাকায় নির্বাচনী কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সারা দিনে কেন্দ্রে মাত্র ৫৩৭ ভোট পড়েছে। অথচ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৯৩০ জন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে জাল ভোটের সুযোগ করে দেয়ায় ভোট শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন বলেও জানান তিনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের উদ্বৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার অভাব এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
প্রতিবেদনে সারাদেশে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ভোট জালিয়াতির প্রত্যক্ষদর্শী ফটো সাংবাদিক সানাউল হকের উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুল কেন্দ্রে ব্যালটে সিল মেরে আরেকজনের হাতে দিচ্ছিলেন তা ব্যালট বঙে রাখার জন্য।
ভোটের দিন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সহিংস দিন উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ভোটের দিন ২১ জন ও পরবর্তীতে আরো ৩ জন মারা গেছে। পুলিশের গুলিতে ১৫ জন প্রাণ হারায়। নিহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাও রয়েছেন।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বলা হয়েছে, মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে ভোটার উপস্থিতি ২০ থেকে শতাংশের মধ্যে হলেও নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে ১৩৯ আসনে ভোটের হার ছিল ৪০ শতাংশ।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী টেলিভিশন আল জাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এ কথা বলা হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ বলা হয়েছে, উদ্বিগ্ন রাজনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের একটি নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদলের মধ্যে কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিরোধীদল আন্দোলনে অনড় এবং সরকার আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ভীত নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্রুত আরেকটি নির্বাচন প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা আল-জাজিরার সাথে আলাপকালে একমত হয়েছেন যে বাংলাদেশ সরকারের উচিত পশ্চিমা বিশ্বের পরামর্শ মেনে নেয়া এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে নতুন নির্বাচন দেয়া।
টিআইবির ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যকতা হলেও রাজনৈতিক ও নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রধান দুই দল একটি সমঝোতায় আসবে না হলেও অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় আসতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার বলেছেন, সর্বশেষ নির্বাচন ছিল গণতান্ত্রিক মূল্যহীন এবং বহুদলের অংশগ্রহণ ছাড়া। একাদশ সংসদ নির্বাচন আশু প্রয়োজন। আমি আশা করি ক্ষমতাসীন দল ১০ম সংসদ নির্বাচনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘায়িত করবে না।
নির্বাচন বর্জনকারী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান বলেছেন, চলমান সংকট সমাধানে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হওয়াতে আমরা নির্বাচনে যাই নি। সরকারকে দ্রুতই আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে তা না হলে বাংলাদেশের শত্রুরা পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগাবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের একদিনের মধ্যে সরকার এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ বলেছেন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের জনগণের আকাঙক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়াতে ওয়াশিংটন হতাশ। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং বিরোধী দলের প্রতি আহবান জানিয়েছে দ্রুত একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য।
বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারনেস ওয়ার্সি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের প্রকৃত আকাঙক্ষার প্রকাশ ঘটা উচিত।
কমনওয়েলথ সেক্রেটারীও নির্বাচনকে ভোটারের নিম্নমাত্রার অংশগ্রহণ ও কম ভোটারের উপস্থিতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
জাতিসংঘের মহা সচিব বান কি-মুনও শান্তিপূর্ণ ও সবদলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়াতে হতাশ।
নির্বাচনকে সাংবিধানিক বাধ্যকতা উল্লেখ করলেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবর উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য দেশটির নিজেদের পথেই অগ্রসর হতে হবে।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বলা হয়েছে, ভোটার উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কম। নির্বাচনের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত অনেক কেন্দ্রে ৩ হাজার ভোটারের মধ্যে ২০ থেকে ৩০টি ভোট পড়তে দেখা গেছে।
রাজধানীর গে-ারিয়া এলাকায় নির্বাচনী কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সারা দিনে কেন্দ্রে মাত্র ৫৩৭ ভোট পড়েছে। অথচ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৯৩০ জন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে জাল ভোটের সুযোগ করে দেয়ায় ভোট শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন বলেও জানান তিনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের উদ্বৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার অভাব এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
প্রতিবেদনে সারাদেশে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ভোট জালিয়াতির প্রত্যক্ষদর্শী ফটো সাংবাদিক সানাউল হকের উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুল কেন্দ্রে ব্যালটে সিল মেরে আরেকজনের হাতে দিচ্ছিলেন তা ব্যালট বঙে রাখার জন্য।
ভোটের দিন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সহিংস দিন উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ভোটের দিন ২১ জন ও পরবর্তীতে আরো ৩ জন মারা গেছে। পুলিশের গুলিতে ১৫ জন প্রাণ হারায়। নিহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাও রয়েছেন।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বলা হয়েছে, মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে ভোটার উপস্থিতি ২০ থেকে শতাংশের মধ্যে হলেও নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে ১৩৯ আসনে ভোটের হার ছিল ৪০ শতাংশ।