আকাশ সদর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ সৃষ্টিকর্তার রহস্য বোঝা বড়দায়! বগুড়া সদরের নিশিন্দারা ইউনিয়নের দশটিকা উত্তর পাড়া গ্রামের বুলু মেকারের পুত্র ১ সন্তানের জনক পুরুষ থেকে মেয়ে রুপান্তির রনি মিয়া (২৫) এখন রহিমা আক্তার। রহিমাকে এক নজর দেখার জন্য উৎসুক নারী পুরুষের ভীড়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উল্লেখিত গ্রামের রনি মিয়া ২০ বছর বয়সে ঢাকায় মারুফা নামে এক মেয়েকে বিবাহ করে সংসার জীবন শুরু করে। তার স্ত্রীর গর্ভে মিম নামে ১ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
বর্তমানে তার বয়স ৪ বছর চলছে। তার স্ত্রীর মারুফা ২ য় সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়। এর পর সে ২য় বিবাহ করে । বিবাহের কিছু দিন পর থেকে তার শারিরীক অক্ষমতার জন্য ২য় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। সে থেকেই তার শরীরের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। বিষয়টি এতদিন সকলের অজনা ছিল। গত ২০ অক্টোবর ২০১৫ ইং থেকে রনির শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটতে থাকলে সে মেয়েদের পোশাক পছন্দ করে ও পড়তে থাকে। সে বর্তমানে তার পূর্ব পরিচিত ১ বন্ধু সদরের গোকুল পলাশ বাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের ফজলুর রহমানের পুত্র একরামুল হক ওরফে ফরিদুল ইসলামকে ভাই ধর্ম করে গত ৪ মাস হলে তার বাড়ীতে যাতায়াত করে ও বর্তমানে অবস্থান করছে। রনি আরো জানায়, দেড় বছর পূর্বে বাঘোপাড়া এলাকার জনৈক কফিল এর পুত্র আপেল হোসেন কে নাকি সে বিবাহ করেছে এবং তার সাথে ফরিদুলের বাড়ীতে একই ঘড়ে রাত্রী যাপন করছে। রনির বন্ধু ফরিদুল জানায়, রনিকে ঢাকা পিজি হাসপাতালে হরমন বিশেষজ্ঞ ডাঃ এম হাসনাত এর কাছে চিকিৎসা চলছে । এব্যাপারে রনির পিতা বুলু মেকার ও মায়ের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আমার ছেলে আগে থেকেই মিয়ালী স্বভাবের ছিল, সে মাঝে মাঝে মহিলাদের পোশাক পড়ে চলাফিরা করতো এবং বিয়ের বাড়ীতে নাচ গান করতো।তারা আরো জানান, গত ৮/৯ মাস পূর্বে থেকে তার দৈহিক পরিবর্তন লক্ষ করি । কিন্তু মান সম্মানের ভয়ে এতদিন প্রকাশ করিনি। এ ব্যাপারে রনির সাথে কথা বললে, সে আনন্দের সহিত জানায়, আমি মেয়ে হয়ে খুশি হয়েছি। মহান আল্লাহর তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। রনির এলাকার গ্রাম বাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান, এটা নিছক গুজব ছাড়া কিছুই না । পলাশ বাড়ীর এলাকার সচেতন একাধীক নারী পুরুষের সাথে কথা বললে তারা জানান, সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর জন্য সে মহিলা রূপ ধারণ করেছে। এই জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে তাকে আটক করে প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন করা দরকার।