শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : ৩ বছর বয়সী ফুটফুটে কন্যা শিশু তানিশা। তার বাবা চান মিয়া একজন কুলি শ্রমিক। মা মমতাজ বেগম গৃহিনী। দিনমজুরির পয়সায় তাদের ৪ সদস্যের সংসার চলে খেয়ে না খেয়ে। তারপরও পরিবারের সবার খেলার সাথী তানিশা কে নিয়ে বেশ আনন্দেই ছিল পরিবারটি।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ মাস বয়সে হঠাৎ তানিশার জ্বর, তার হাত-পা নীল হয়ে যাওয়া এবং অজ্ঞান হয়ে পড়া সমস্যা দেখা দেয়। পরে চিকিৎসকদের কাছে নিলে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর জানাজায় তানিশা জন্মের সময়েই হার্টে ছিদ্র নিয়ে জন্মেছে। ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে নেয়া হয় ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড রিচার্স ইন্সটিটিউটে। সেখানে চিকিৎসকরা জানান তানিশার হার্ট অপারেশন করতে হবে। এ কাজে দরকার আড়াই লাখ টাকা। দিনমজুর বাবার পক্ষে এত টাকার যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তাই সে যাত্রা অপারেশন করা হয়নি। এরপর প্রায় ৩ বছর কেটে গেছে। তানিশার বর্তমান বয়স ৩ বছর ৪ মাস। বিগত ১ মাস ধরে প্রায়ই তানিশা জ্ঞান হারাচ্ছে। জ্বর আর হাত-পা নীল হয়ে যাওয়া তো আছেই।
এমতাবস্থায় তাকে নেয়া হয় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা: মো: শফিকুল ইসলামের কাছে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন ৪ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তানিশার হার্ট অপারেশন করতে হবে। অন্যথায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।
অপরদিকে হতদরিদ্র বাবা-মা কোনভাবেই হার্ট অপারেশনের জন্য আড়াই লাখ টাকা সংগ্রহ করতে পারছেন না। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে তানিশার বাবা-মা চরম হতাশায় হাবুডুবু খাচ্ছেন। এ মতাবস্থায় একমাত্র কন্যা শিশুটির জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের দানশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তানিশার বাবা-মা। সাহায্য পাঠাতে ০১৭৫১-৪৯১১৭৯ নম্বরে বিকাশ করতে পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।