GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: মহামারি করোনাকালীন এক বছর যাবৎ  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঘরে বসে সময় নষ্ট না করে কমলা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিমসারডুবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা মজুমদার।


কমলা চাষি শিক্ষক ফাতেমা মজুমদার বলেন, ২০০৫ সালে কমলা খেয়ে বীজ রোপণ করে পরীক্ষামূলক ১টি চারা গাছ থেকে আজ বিশাল বাগান হয়েছে।  বর্তমানে নাগপুরি’সহ বিভিন্ন উন্নত জাতের ৫ শতাধিক গাছে কমলা ধরেছে। এসব গাছ থেকে প্রতি মৌসুমে ৫ লাখ টাকার কমলা বিক্রি হয়। জেলা প্রশাসক’সহ সরকারি বেসরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের আগমন ঘটেছিল কমলা বাগান পরিদর্শনে। ২০১৪ সালে বাগান থেকে আসতে শুরু হয় কমলা। এরপর শ্রেষ্ঠ কমলা চাষি হিসেবে ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছি। প্রধানমন্ত্রী দেয়া পরামর্শ আর জাতীয় পুরস্কারই আরো উৎসাহ বাড়িয়ে দেয় আমার। এখন পর্যায়ক্রমে বাগান সম্প্রসারিত করে ৫ শতাধিক কমলা গাছ থেকে কমলা ও নার্সারী থেকে হাজার হাজার কলম চারা বিক্রি করে বছরে ৫ লাখ টাকা আয় হচ্ছে।
তার স্বামী খলিলুর রহমান উপজেলার মিলন বাজার মোজাম্মেল হোসেন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্বামী স্ত্রীর চাকরি জীবনে স্কুল সময় দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে কমলা চাষ করে জেলায় প্রশংসা কুড়িয়েছে তারা। সফলতা ও বাড়তি আয়ে বদলে দিয়েছে ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে’সহ ৫ সদস্যের পরিবারের ভবিষ্যৎ চলার গতিধারাকে।

Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top