মাসুদ রানা, জাগো নিউজ ২৪ এর সৌজন্যেঃ নিরাপত্তার কঠোরতায় ঘেরা প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। অর্ধশত কুকুর ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে। এরা কখনো কখনো ভয়ংকর হয়ে উঠছে। অনেকেই কুকুরের তাড়া খাচ্ছেন। কেউ কেউ কামড়ও খেয়েছেন। এতে ব্যাহত হচ্ছে সচিবালয়ের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড।
সচিবালয়ে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, কুকুর নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা বা লোকবল তাদের নেই। এ কাজ মূলত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। এর আগে কয়েকবার ডিএসসিসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আবারও চিঠি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, কুকুর নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত। এরপরও সচিবালয়ের কুকুর নিয়ন্ত্রণে শিগগির পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সচিবালয়ে কুকুরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরেও এসেছে। কুকুর নিয়ন্ত্রণে এর আগেও সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আবারও চিঠি দেওয়া হবে।
সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্ধারিত অফিস সময়ের পরে অনেকেই সচিবালয়ে অবস্থান করেন। অফিস সময়ে সচিবালয় চত্বর গাড়িতে পূর্ণ থাকে, তখন কুকুরগুলো গাড়ির ফাঁকে লুকিয়ে থাকে। অফিস সময় শেষ হলে সচিবালয়জুড়ে ঘুরে বেড়ায় কুকুরগুলো। খোলা চত্বরে গড়াগড়ি করে। কখনো কেউ একা এদের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে তাড়া করে। বাগে পেলে কামড়ও বসিয়ে দেয়।
তারা বলেছেন, রাতে ও ছুটির দিনে কুকুরগুলো বেশি হিংস্র আচরণ করে। এছাড়া এরা অফিস চলাকালীন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের করিডোরে ঘুরে বেড়ায়। মলমূত্র ত্যাগ করে ফ্লোর নষ্ট করে। আবার কুকুর প্রায়ই নিজের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে। এতে খুবই বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সচিবালয়ের মধ্যে।
গণপূর্ত বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে বাংলাদেশ সচিবালয় মোট ১৭ একর জমির ওপর অবস্থিত। পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, প্রবাসী কল্যাণ ও শিল্প মন্ত্রণালয় ছাড়া সব মন্ত্রণালয়ের অফিস এ চত্বরের মধ্যে। এখানে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব, সচিবরা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিস করেন। বিদেশি ডেলিগেটরাও হরহামেশা সচিবালয়ে আসছেন।
সচিবালয়ে মন্ত্রী-সচিবের অফিস, কিন্তু এখানকার পরিবেশ এমন হবে এটা কল্পনা করা যায় না। বিভিন্ন ফ্লোরে কুকুর হাঁটছে, মলমূত্র ত্যাগ করছে। আমাদের এখানে একটা কুকুর সার্বক্ষণিকভাবে থাকে। বিভিন্ন কক্ষেও ঢুকে পড়ছে। অনেক সময় আমরা টয়লেটে যেতে পারি না। সেখানে ঢুকে যায়।
গুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনায় কুকুরের এমন উৎপাত রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন অনেকেই।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীন ইডেন ভবন গণপূর্ত বিভাগ সচিবালয়ের সব অফিস ভবন, ড্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ, নির্মাণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজসহ সব মেরামত কাজ করে।
গণপূর্ত বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কুকুর নিয়ন্ত্রণে আমাদের কোনো বিশেষজ্ঞ কিংবা জনবল নেই। তাই সচিবালয়ের কুকুর নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বেশ কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত বছর সিটি করপোরেশনের লোকজন তিনদিন এসেছেন, কিন্তু তারা কুকুর সরাতে পারেননি। মূলত তারা অফিস চলার সময় আসতো, তখন সচিবালয় চত্বর গাড়িতে ভরা থাকতো। কুকুর ধরতে গেলে গাড়ির ফাঁকে লুকিয়ে যেতো।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, কাজের প্রয়োজনে অনেক সময় আমাকে রাত ৮টা বা ৯টার দিকে সচিবালয় ত্যাগ করতে হয়। আমি অনেক আতঙ্কে থাকি। কোনো স্টাফ থাকলে আমি সঙ্গে করে একটু সচিবালয় চত্বরটা পার করে দিতে বলি। রাতে কুকুর খুব অ্যাটাকিং মুডে থাকে। সচিবালয়ের মতো স্থানে এমন অবস্থা হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।
সচিবালয়ে গণপূর্ত বিভাগের অধীনে গ্রিলের কাজ করেন আনোয়ার হোসেন। সাত থেকে আট মাস আগে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সচিবালয়ে চার নম্বর ভবনের সামনে কুকুর তার পায়ে কামড় দেয়।
আনোয়ার হোসেন বলেন, বেশ কয়েক মাস আগে সচিবালয় ক্লিনিকের ওষুধ রাখার স্টিলের তাক মেরামতের জন্য গিয়েছিলাম। মালপত্র আসবে তাই চার নম্বর বিল্ডিংয়ের পুলিশ বক্সের সামনে ভ্যানে বসে ছিলাম, হঠাৎ এসে একটা কুকুর আমার পায়ে কামড় দিয়েছে। পরে আমাকে মহাখালী গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
সচিবালয়ে দায়িত্বরত ইলেকট্রিশিয়ান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সচিবালয়ে সারারাত ধরে জ্বলা বাতি আমি ভোর ৫টার দিকে নিভিয়ে থাকি। কয়েকবার কুকুর আমাকে তাড়া করেছে। তাই এখন থেকে সকালে ডিউটি করার সময় হাতে লাঠি রাখি।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টাই সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রধান ফটক ছাড়াও ভেতর এবং ওয়াচ টাওয়ারগুলোতে তারা অবস্থান করেন। বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কুকুরের তাড়া খেয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য গাজিউল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস আগে সচিবালয়ে রাতে ডিউটি ছিল। ৬ নম্বর ভবনের দিকে আসতেই কুকুর তাড়া করলো, আমি কোনো রকমে কামড় খাওয়া থেকে বেঁচেছি। একটু বেশি রাত হলে ৬ নম্বর ভবনের ওদিকটায় যাওয়া যায় না।
সচিবালয়ের এক নম্বর ক্যান্টিনের বাবুর্চি সাল্টু শিকদার বলেন, আমরা ক্যান্টিনেই থাকি। কিছুদিন আগে রাতে মসজিদ থেকে এশার নামাজ পড়ে ফিরছিলাম। এসময় চার নম্বর বিল্ডিংয়ের সামনে কুকুর ধাওয়া করে। প্রথমে ভয় পেয়ে যাই। পরে দৌড় না দিয়ে সাহস নিয়ে উল্টো ওদের ভয় দেখাই, তখন দূরে সরে যায়।
সেলিম দাস ও প্রমা রানী সচিবালয়ে ক্লিনিক ভবনে (নিচ তলায় ক্লিনিক ছাড়াও তথ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আছে এ ভবনে) পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন। সেলিম বলেন, আমাদের সবসময় দেখে তাই তাড়া করে না কামড়ও দেয় না। তবে পুরো বিল্ডিংয়ে প্রস্রাব-পায়খানা করে নষ্ট করে রাখে। আমাদের বাড়তি কষ্ট করতে হয়। সচিবালয়ে এমন কোনো বিল্ডিং নেই যেখানে কুকুর ওঠে অপরিষ্কার করে না করে। ছয় নম্বর ভবনের ২০ তলার ছাদে পর্যন্ত কুকুর ওঠে।
প্রমা রানী জানান, ছুটির দিনের পর অবস্থা খুব খারাপ থাকে। খাবারের খোঁজে কুকুর ঝুড়ির ময়লা ছড়াইয়া-ছিটাইয়া রাখে। লিফটের সামনে, বিভিন্ন ফ্লোরে পায়খানা করে নষ্ট করে রাখে।
সচিবালয়ে অন্যান্য দপ্তরের থেকে আলাদা তথ্য অধিদপ্তরের বার্তা কক্ষ। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নয় নম্বর ভবনের তৃতীয় তলার বার্তাকক্ষে কাজ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের রাতে চলাচল করতে হয়। তারাও কুকুর নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তবে তারা কেউ নাম প্রকাশ করতে চাননি।
বার্তাকক্ষের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, সচিবালয়ে মন্ত্রী-সচিবের অফিস, কিন্তু এখানকার পরিবেশ এমন হবে এটা কল্পনা করা যায় না। বিভিন্ন ফ্লোরে কুকুর হাঁটছে, মলমূত্র ত্যাগ করছে। আমাদের এখানে একটা কুকুর সার্বক্ষণিকভাবে থাকে। বিভিন্ন কক্ষেও ঢুকে পড়ছে।
তিনি বলেন, অনেক সময় আমরা টয়লেটে যেতে পারি না। সেখানে ঢুকে যায়। অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর একটা অবস্থা। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, রাত-বিরাতে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচল করতে হয়। আমাদের অনেক নারী কর্মীও রয়েছেন। রাতে যাদের হেঁটে সচিবালয় থেকে বের হতে হয়, কখন কুকুরে তাড়া করলো তাদের এ আতঙ্কে থাকতে হয়। অনেকেই তাড়া খেয়েছেন।
অনেক সময় সচিবালয়ে দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিকরা রাত পর্যন্ত গণমাধ্যম কেন্দ্রে বসে কাজ করেন। কাজ শেষে সন্ধ্যার পর সচিবালয় ত্যাগের সময় কয়েকজন সাংবাদিক কুকুরের তাড়া খেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ বাংলা২৪ ডটকমের সিনিয়র রিপোর্টার আশিক হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে এক প্রোগ্রাম শেষে নিউজ লিখে অফিসে পাঠাতে পাঠাতে সন্ধ্যা পার হয়ে যায়। এরপর গণমাধ্যম কেন্দ্র থেকে মোটরসাইকেলে সচিবালয় ত্যাগ করার সময় ৩ ও ৪ নম্বর ভবনের মাঝখানের স্থানে আসতেই কয়েকটি কুকুর একসঙ্গে হয়ে আমাকে তাড়া করে। আমি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি। আমি মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে দ্রুত সরে পড়ি। আমি এতটা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ওই স্থান ত্যাগ করেছি যে, মোটরসাইকেল নিয়ে আমি দুর্ঘটনায়ও পড়তে পারতাম।
আরেকটি নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমি সাধারণত অফিসে যাই না। সচিবালয় থেকে কাজ শেষ করে সাধারণত সন্ধ্যার পর বাসায় চলে যাই। চলতি মাসেই আমি সচিবালয়ের মধ্যে তিনবার কুকুরের তাড়া খেয়েছি।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নিয়ামুল নাসের জাগো নিউজকে বলেন, প্রজনন সময়ে কুকুর মূলত হিংস্র হয়ে ওঠে। মানুষকে তাড়া করে। সামনে শীত আসছে। এখন কুকুরের প্রজনন মৌসুম। সংখ্যাধিক্যতাও কুকুরের হিংস্র আচরণের সহায়ক। আবার কুকুরের এলাকা ভাগ করা থাকে, বেশি কুকুর থাকলে এক এলাকার কুকুর দেখলে আরেক এলাকার কুকুর বিরক্ত হয়। পছন্দ-অপছন্দের বিষয় আছে। সংখ্যা কমিয়ে দিলেও সুফল পাওয়া যায়।
সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয়ে এ অধ্যাপক বলেন, বন্ধ্যাত্বকরণ করা যেতে পারে। এটা করলে ধীরে ধীরে কুকুরের সংখ্যা কমে যাবে। প্রাণী অধিকারের বিষয় আছে, মেরে ফেলা যাবে না। তাই একই সঙ্গে কিছু কুকুর অন্যত্র সরিয়েও নেওয়া যায়। সরকার চাইলে সচিবালয়কে কুকুরমুক্তও ঘোষণা করতে পারে। সেক্ষেত্রে কুকুরগুলো অন্যত্র পুনর্বাসন করতে পারে।
সচিবালয়ের ইডেন ভবন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, সচিবালয়ে কুকুরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরেও এসেছে। কুকুর নিয়ন্ত্রণে এর আগেও সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আবারও চিঠি দেওয়া হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের ভেটেরিনারি (প্রাণিসম্পদ) কর্মকর্তা আছেন পাঁচজন, তারা সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন। আমাদের ভেটেরিনারি দপ্তরে একটু জনবল সংকট ছিল, এ অবস্থায় আমরা পাঁচজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছি তারা কাজ শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, একটু ভালো হতো যদি প্রত্যেকটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ দায়িত্বে এগুলো (কুকুর) অপসারণ করতো। কিন্তু কুকুর নিধনের বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এগুলোকে অপসারণের সমস্যা হচ্ছে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে ছেড়ে দিলে তারা পুরোনো জায়গায় আবার ফিরে আসে। আবার যেখানে নিয়ে ছেড়ে দেই সেখানকার মানুষের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে।
‘শুনে আশ্চর্য হবেন যে, কাঁচপুর ব্রিজের ওপারে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া কুকুরও চলে এসেছে। আমরা এ ঘটনায় অবাক হয়েছি। মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল এলাকায়ও ছাড়া হয়েছে। যেভাবে ছাড়বো সেখানকার লোকজনও বাধা দেয়। তাই আমরা কুকুর নিয়ন্ত্রণে চতুর্মুখী সমস্যায় আছি।’
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কুকুর বন্ধ্যাত্বকরণের দিকে নজর দিচ্ছে জানিয়ে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, কুকুর বন্ধ্যাত্বকরণের কাজ চলমান। যেন ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে কুকুরের সংখ্যাটা কমে আসে। এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, এটাতে ফল পেতে একটু সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, সচিবালয় বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় দপ্তর। আমরা সেখানে শিগগির লোক পাঠাবো এবং আমাদের কার্যক্রম চালাবো। সচিবালয়ে এরই মধ্যে কয়েকবার কার্যক্রম চালানোও হয়েছে। আবারও আমরা সচিবালয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবো।