প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ’।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সর্বশেষ ঘোষিত ফলাফলে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিকে বঞ্চিত করে চাকরিজীবীর সন্তানদের বৈষম্যমূলক কোটা সুবিধা দিয়ে পুনরায় চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ৮ ধারায় মনগড়া নিয়মে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য বা পারিবারিক, ২০ শতাংশ পুরুষ ও সামগ্রিকভাবে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান কোটার অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। যা সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিকে এগিয়ে নেওয়ার সাংবিধানিক নির্দেশনার অবজ্ঞা করা। এই অন্যায় নীতির ফলে, কৃষক, দিনমজুর, গার্মেন্টস শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের বঞ্চিত করেছে সরকার।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে রিট করলে আদালত বেকারদের পক্ষে রুল জারি করেন। কিন্তু জারি করা রুলের বিপরীতে শুনানি করতে গড়িমসি করছেন আদালত। এদিকে ফলাফল প্রকাশ করে ফেলেছে অধিদপ্তর। যার ফলে অযোগ্য অমেধাবীরা কোটায় শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করছে। আর বঞ্চিত হযয়েছে সাধারণের চাকরি প্রত্যাশীরা। এটি ২০১৮ সালে সফল ছাত্র আন্দোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া কোটা বাতিলের প্রতিশ্রুতির খেলাপ বলে আমরা মনে করছি। এখানে সরকারি পরিপত্র না মেনে মনগড়া নিয়ম বানিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় বিধিবহির্ভূত কর্ম সংগঠিত হয়েছে। তাই আমরা বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানাচ্ছি।
তাদের দাবিগুলো হলো- বৈষম্যমূলক এই ফলাফল বাতিল করে এক ও অভিন্ন কাট মার্কে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করা হোক; কোটা বাতিলের সরকারি পরিপত্র মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক; শিক্ষক নিয়োগে বিদ্যমান নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করে নতুন কোটামুক্ত পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দ্রুত প্রকাশ করা; প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করে পোষ্য কোটাসহ সব কোটার সম্পূর্ণ বিলোপ করা; এবং নিয়োগ পরীক্ষার মেরিট লিস্টের পাশাপাশি প্রাপ্ত নাম্বার প্রকাশ করা।
অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজের আহ্বায়ক তারেক রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন কবির, আজিজ, আলমগীর, সমন্বয়ক ইমরান প্রমুখ।