যশোরে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে অপহরণের পর মোবাইল, নগদ টাকা কেড়ে নিয়ে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানায়।
সোমবার (১৩ মার্চ) কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কেসমত আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- যশোর সদরের গোপালপুর গ্রামের লিয়াকত আলী বিশ্বাসের মেয়ে সোনিয়া (২০), একই গ্রামের আকাশ (২৪), খায়রুল বাসার (২৪), শহরের বারান্দিপাড়া লিচুতলার আমিনুল ইসলামের ছেলে মিয়া (২৯), বারান্দিপাড়া কদমতলার রবিউল ইসলাম রানার ছেলে চায়না সাগর (২৬), ঢাকা রোড বারান্দিপাড়ার সাহেব বাবুর বাড়ির ভাড়াটিয়া আনোয়ার হোসেন পালকের ছেলে মর্তুজা হোসেন শুভ (১৯), সদরের ঘুনি পদ্মবিলার ডাক্তারের ছেলে শুভ (১৯) ও শহরের মোল্লাপাড়া প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন খোকনের ছেলে শুভ (২২)।
এদের মধ্যে মিয়া, শুভ ও চায়না সাগরকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি সোনিয়ার সঙ্গে দুই বছর আগে মোবাইলে পরিচয় হয় বাদী বিল্লাল হোসেনের। এরপর বিভিন্ন সময় ফোন করে বিয়ের প্রলোভন দেখাতে থাকেন সোনিয়া। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে সোনিয়া ফোন করে বিল্লালকে বিয়ে করবে বলে জানান। কাবিনের এক লাখ টাকা নিয়ে সোনিয়া বিল্লালকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
এসময় বিল্লাল তাকে জানান, লেবারদের দেওয়ার জন্য তার কাছে মাত্র ৫ হাজার টাকা আছে। সোনিয়া বলেন, ওই টাকা নিয়ে আসলেই হবে। সোনিয়ার কথা মতো বিল্লাল ৫ হাজার টাকা নিয়ে বারান্দিপাড়া কদমতলা ব্যাংকপট্টির গলির মুখে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, আসামি সোনিয়া তার সহযোগী অন্য আসামিদের নিয়ে অবস্থান করছেন। বিল্লাল সেখানে পৌঁছালে আসামিরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে অপহরণ করে ব্যাংকপট্টির গলির মধ্যে হাসান দর্জির বাগানে নিয়ে যায়। আসামিরা এসময় বিল্লালের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এক পর্যায়ে আসামি খায়রুল ও মিয়া বিল্লালকে জাপটে ধরলে সোনিয়া তার প্যান্টের পকেট থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেন। প্রতিহত করার চেষ্টা করলে এলোপাতাড়ি মারধর করে তাকে জখম করেন তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইয়াসিফ আকবর জয় জানান, রোববার (১২ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করা হয়। আটকদের সোমবার (১৩ মার্চ) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।