মাহে রমজানের পবিত্রতা ও ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও কোরআন তেলাওয়াত করে মাদ্রাসায় বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উদযাপন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি মাদ্রাসায় এই নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসাইন বলেন, নতুন বছর যেন ভালো কাটে, এজন্য দেশ ও জনগণের জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে মাদ্রাসারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
শুক্রবার নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষবরণ করা হবে। রমনা বটমূলে ছায়ানটের সংগীতের মাধ্যমে দিনটির বরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার রমনার বটমূলে ব্যাগ নিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ওই দিন বিকেল চারটার মধ্যে সব অনুষ্ঠান শেষ করে সবাইকে রমনা পার্ক ত্যাগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ উপলক্ষে রমনা বটমূলে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, শুক্রবার পহেলা বৈশাখ। রমনা বটমূলে ছায়ানটের সংগীতের মাধ্যমে দিনটির বরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার জন্য ২০০১ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী এ রমনা বটমূলে বিস্ফোরণ ঘটায়। তাতে অনেক নিরীহ লোকের প্রাণহানি ঘটে। তারপর থেকে ডিএমপি প্রতিবছর রমনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রসরোবর ও ঢাকার যেসব স্থানে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান হয়, সেসব স্থানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। এর অংশ হিসেবে রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।