আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিদিনই কোথাও-না-কোথাও আগুন। এটা তদন্ত করা হচ্ছে, আগুন লেগেছে নাকি আগুন লাগানো হয়েছে।
গণতন্ত্র, সংবিধান ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আপসহীন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়ার আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগ। দেশের মার্কেটগুলোতে পাহারায় থাকবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে অশুভ শক্তি কাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতা আবারও শুরু হয়েছে। পরপর কয়েক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা তো অগ্নিসন্ত্রাসের মতোই। মার্কেটে আগুন লেগেছে নাকি লাগানো হয়েছে। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো পদধ্বনি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। দেশব্যাপী বিক্ষোভ, পদযাত্রা, মানববন্ধনে জনসমর্থন আদায় করতে পারেনি বিএনপি। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। আন্দোলনের ডাকে ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কের কোনো সমস্যা নেই। কারও ফরমায়েসি গণতন্ত্র বাংলাদেশে চলবে না। সংবিধান মাফিক হবে সবকিছু। অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্য চাই দেশব্যাপী। বিএনপি চায় দেশে অস্বাভাবিক সরকার আসুক। অগ্নিসন্ত্রাসের পুরনো দিনে ফিরছে কিনা বিএনপি; তারা কী আবারও আগুন নিয়ে খেলা শুরু করলো? আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা শেখ হাসিনাকে হঠানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ইইউ, মার্কিন রাষ্টদূতসহ সবাইকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি। নির্বাচন হবে সংবিধান মাফিক, পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ২০০৬ এর মতো অস্বাভাবিক সরকার আনতে চাচ্ছে বিএনপি; যা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া হবে না।