GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে গ্যাসের গন্ধ। সোমবার রাতে রামপুরার মোল্লাবাড়ি, রামপুরা নতুন রাস্তার বউ বাজার ও তালতলা এলাকাজুড়ে এ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।



রামপুরার বনশ্রী ও মগবাজারের সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়ও গ্যাসের গন্ধ পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে।  

এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।


আতঙ্ক না ছড়িয়ে চুলা জ্বালানো বন্ধ রাখতে স্থানীয় মসজিদগুলো থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।  

এদিকে আতঙ্কে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন অনেকে।


খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছে।  

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তাঘাটে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, এরকম অভিযোগ পরিপ্রেক্ষিতে রামপুরা থানা পুলিশ তালতলা মৌলভীটেক, পূর্ব রামপুরা জামতলা, রামপুরা নতুন রাস্তার বউ বাজার এলাকায় পুলিশ অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে বউবাজার এলাকায় মেনহোল থেকে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। রামপুরা থানা এলাকায় যেখানেই গ্যাসের দগ্ধ পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই পুলিশ যাচ্ছে। বনশ্রী বি ব্লক থেকেও সংবাদ পাওয়া গেছে সেখানে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।


তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিতাসের সেন্ট্রাল পর্যায়ে কথা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দিয়েছেন। আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছেন।  


এদিকে রমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এমন সংবাদে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে। তবে আমরা শুনেছি ঢাকা শহরের বেশ কয়েক জায়গায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।


এদিকে রামপুরা ওয়াপদা রোড পাওয়ারহাউসের পাশে একটি মসজিদ থেকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়। গন্ধের কারণে গ্যাসের চুলা না জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।


এ ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে তিতাস। তারা বলছেন, ঈদে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায়, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে৷ তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে ৷


নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।


তিতাসের জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক শাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, তা ওডোরেন্ট সমস্যা। ইতোমধ্যে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কোনো শঙ্কা নেই।


Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top