GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

 কবিতা বা গানের ছন্দ বিষয়ক আলোচনাঃ


( প্রথম পর্ব )
--------------------­--------------------­-------
ছন্দ কি বা ছন্দ কাকে বলে ?
কবিতা বা গানে যে ভাবে শব্দ সাজালে কাব্য শ্রুতিমধুর হয় এবং মনে রস বা আবেগের সৃষ্টি করে , তাকেই ছন্দ বলে । ধ্বনি ও সময়ের মধ্যে সামঞ্জস্য সৃষ্টি করাই ছন্দ যেমনঃ
মেঘের মত আমার একটা মন ছিলোরে
তোর হৃদয়ের আকাশ নীলে ভাসতো ।।
লক্ষ্যনীয় , পঙক্তি দুটি পাঠের সময় পর্বে পর্বে একটা যতি বা বিরাম এসে দোলা দিচ্ছে । আর এটা হচ্ছে ছন্দের কারণেই ।
ছন্দ নিয়ে আলোচনার পূর্বে 'অক্ষর' এবং 'মাত্রা' কি? তা জানা জরুরী ।
অক্ষর (Syllable): নিঃশ্বাস বায়ূর এক ঠেলায় বা চাপে শব্দের যেটুকু অংশ উচ্চারণ করা যায়, তাকেই অক্ষর বলে ।
অক্ষর দুই প্রকারঃ 'মুক্তাক্ষর' এবং 'বদ্ধাক্ষর'
মুক্তাক্ষরঃ যে অক্ষরের সাথে স্বরধ্বনি যুক্ত থাকে এবং ইচ্ছামত টেনে পড়া যায়, তাকে মুক্তাক্ষর বলে । মুক্তাক্ষর মূলত ১ টি বর্ণে গঠিত হয়। যেমনঃ
( তো-মা-কে ) এখানে ৩ টি মুক্তাক্ষর আছে ।
( ভা-লো-বা-সি ) এখানে, ৪ টি মুক্তাক্ষর আছে ।
বদ্ধাক্ষরঃ যে অক্ষর উচ্চারণ করার সময় ইচ্ছামত টেনে পড়া যায় না, স্বর আটকিয়ে বা Block হয়ে যায়, তাকে বদ্ধাক্ষর বলে । বদ্ধাক্ষর মূলত দুটি বর্ণে গঠিত হয়ে থাকে । যেমনঃ
দিগদর্শন ( দিগ-দর-শন ) এখানে, ৩ টি বদ্ধাক্ষর আছে ।
আসমান ( আস-মান ) এখানে, ২ টি বদ্ধাক্ষর আছে ।
মাত্রা কি , বা মাত্রা কাকে বলে ?
ছন্দ গণনার একক কে বলে মাত্রা ।
যেমনঃ " মেঘের মত আমার একটা মন ছিলোরে
তোর হৃদয়ের আকাশ নীলে ভাসতো ।। "
বাক্যটি ভেঙে লিখলে,
মে-ঘের ম-ত ) ৪ টি, আ-মার এক-টা ) ৪ টি, মন-ছি-লো-রে ) ৪ টি
তোর-রি-দ-য়ের ) ৪টি, আ-কাশ নী-লে ) ৪ টি, ভাস-তো ) ২টি
করে মাত্রা আছে স্বরবৃত্ত ছন্দের নিয়ম অনুসারে । ·
কবিতা বা গানের ছন্দ বিষয়ক আলোচনা
( দ্বিতীয় পর্ব )
--------------------­---
ছন্দ কত প্রকার ও কি কি ?
ছন্দ তিন প্রকার ।
১ ) স্বরবৃত্ত ছন্দ
২ ) মাত্রাবৃত্ত ছন্দ এবং
৩ ) অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
স্বরবৃত্ত ছন্দ
যে ছন্দে 'মুক্তাক্ষর' এবং 'বদ্ধাক্ষর' দুটোকেই এক মাত্রা হিসাবে গণ্য করা হয়, তাকেই স্বরবৃত্ত ছন্দ বলে । স্বরবৃত্ত ছন্দের পর্ব ৪ মাত্রায় গঠিত হয় । ৪ মাত্রার চলনই স্বরবৃত্ত । যেমন
গো-লা-পের-ঐ / কাঁ-টার -আ-ঘাত / গো-লা-পের -তো / নয় ৪/৪/৪/১
দোষ -কি -তো-মার / মন-টা -য-দি / গো-লাপ -হ-য়ে / রয় ।। ৪/৪/৪/১
খেয়াল করুণ, এখানে প্রতিটি পূর্ণপর্বে বা মূলপর্বে ৪ টি করে মাত্রা আছে এবং পঙক্তির শেষে মূলপর্বের চেয়ে ছোটো, ১ মাত্রার একটি অপূর্ণপর্ব আছে ।
অনুরূপ ভাবে
মিষ্টি করে বললেই লাগে মিষ্টি
হয়রে প্রেমের একটু একটু সৃষ্টি
এবার উপরের লাইন দুটিকে ভেঙে লেখি
মিষ্-টি- ক-রে / বল-লেই- লা-গে / মিষ্-টি ৪/৪/২
হয়-রে- প্রে-মের / এক-টু- এক-টু / সৃষ্-টি ৪/৪/২
খেয়াল করে দেখুন, প্রতিটি পূর্ণপর্বে ৪ টি মাত্রা আছে, কিছু 'মুক্তাক্ষর' এবং কিছু 'বদ্ধাক্ষর' দিয়ে পর্ব গুলো গঠিত । মূল পর্বের শেষে অপূর্ণপর্বে ( মূল পর্বের চেয়ে ছোট পর্বে ) ২টি মাত্রা আছে । এটাই মোটামোটি স্বরবৃত্ত ছন্দের অবয়ব ।
এখানে উল্ল্যেখ্য, বাংলা সাহিত্যে অধিকাংশ কবিতা, গান বা গীতিকবিতা, ছড়া ইত্যাদি স্বরবৃত্ত ছন্দেই রচিত হয়েছে ।
পর্ব কি বা পর্ব কাকে বলে ?
------------
যে কোনো ছন্দে লিখিত কবিতার সমমাত্রার বাক্যাংশ যা পাঠের সময় সামান্য যতি বা বিরাম আসে তাকেই পর্ব বলে ।
যেমনঃ
শোন বন্ধু শোন / পিরিতের দুই / কোণ
আঁকতে চাইলে / পেনসিল খাতা / বানারে তোর / মন ।।
এখানে প্রথম লাইনে ২টি ৪মাত্রার পূর্ণপর্ব ( শোন বন্ধু শোন ), ( পিরিতের দুই )
এবং ১টি এক মাত্রার অপূরণপর্ব ( কোণ ) রয়েছে ।
একই ভাবে ২য় লাইনে ৩টি চার মাত্রার মুলপর্ব ( আঁকতে চাইলে ), ( পেনসিল খাতা ),
( বানারে তোর ) এবং ১টি এক মাত্রার অপূর্ণপর্ব ( মন ) রয়েছে ।
পর্ব কত প্রকার ও কি কি ?
--------------------­------------
পর্ব ৩ প্রকারের
১ / মূলপর্ব বা পূর্ণপর্ব
২ / অতিপর্ব বা পূর্বপর্ব
৩ / অপূর্ণপর্ব
১ ) মূলপর্ব বা পূর্নপর্ব কি > যে কোনো মাত্রা ছন্দে লিখিত কবিতা বা গানের মূল কাঠেমো সমমাত্রিক যে বাক্যাংশ দ্বারা গঠিত হয় তাকেই পর্ব , মূলপর্ব বা পূর্ণপর্ব বলে ।
২ ) অতিপর্ব বা পূর্বপর্ব কি > পংতিতে বা বাক্যে মূলপর্বের আগে , মূলপর্বের চেয়ে ছোট যে পর্ব থাকে তাকে অতিপর্ব বা পূর্বপর্ব বলে ।
৩ ) অপূর্ণপর্ব কি > পংতিতে বা বাক্যে মূলপর্বের শেষে , মূলপর্বের চেয়ে ছোট যে পর্ব থাকে তাকে অপূর্ণপর্ব বলে ।
এখানে স্বরবৃত্ত ছন্দের আদলে একটি উদাহারণ দিয়ে মূলপর্ব , অতিপর্ব , অপূর্ণপর্ব বিষয়টি পরিষ্কার করা যাক ।
ও তুই ) ঘুচাই দেরে / দুঃখ কষ্টের / কপালটা
ও তুই ) ফিরাই দেরে / আমার সুখের / জীবনটা ,
এত জ্বালার / কি আছেরে / কারনটা
ওরে মালিক / এত জ্বালার / কি আছেরে / কারনটা ?।
এখানে প্রথম লাইনে ( ও তুই ) ২ মাত্রার অতিপর্ব । ( ঘুচাই দেরে ) ৪ মাত্রার মূলপর্ব । ( দুঃখ কষ্টের ) ৪ মাত্রার মূলপর্ব । এবং ( কপালটা ) ৩ মাত্রার অপূর্ণপর্ব ।
একই ভাবে ২য় লাইনে ( ও তুই ) ২ মাত্রার অতিপর্ব । ( ফিরাই দেরে ) ৪ মাত্রার মূলপর্ব । ( আমার সুখের ) ৪ মাত্রার মূলপর্ব । ( জীবনটা ) ৩ মাত্রার অপূর্ণপর্ব ।
৩য় এবং ৪র্থ লাইনে কোনো অতিপর্ব নাই । তবে মূলপর্বের শেষে একটি করে ৩ মাত্রার অপূর্ণপর্ব আছে ।
ছন্দ বিষয়ক আলোচনাঃ
( ৩য় পর্ব )
--------------------­--------------------­-----
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ কি বা কাকে বলে ?
--------------------­---
যে ছন্দে 'মুক্তাক্ষর' গুলি ১ মাত্রা , এবং 'বদ্ধাক্ষর' গুলি ২ মাত্রা হয়ে থাকে , তাকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ বলে । মাত্রাবৃত্ত ছন্দে (৪ , ৫ ,৬ , ৭ , ৮) মাত্রায় পর্ব গঠিত হয় । মাত্রাবৃত্তে প্রতিটি অক্ষর বা বর্ণই এক একটি মাত্রা । যার কারনে অধিকাংশ কবিতা গানই মাত্রাবৃত্তে ধীর লয়ের হয়ে থাকে । বাংলা সাহিত্যে অসংখ্য কবিতা গান মাত্রাবৃত্তে রচিত হয়েছে ।
মাত্রাবৃত্ত ছন্দের কিছু উদাহারণ
--------------------­--------------------­--
৪ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দের উদাহারণ >
আমার এ / ভালবাসা / জানি এক / দিন ৪/৪/৪/২
বলবেই / বলবেই / জানি এক / দিন ৪/৪/৪/২
আমি বড় / হৃদয়ী গো / আমি বড় / ত্যাগী ৪/৪/৪/২
মাঝ পথে / দুখী আর / অবশেষে / সুখী ।। ৪/৪/৪/২
৬ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দের উদাহারণ >
বসনত আসে / বসনত যায় ৬/৬
প্রেম হীন এই / পুসপ হৃদয় / বসে থাকে হায় ৬/৬/৬
একটি ফুলেল / প্রেমের আশায় ।। ৬/৬
মাত্রাবৃত্ত ছন্দে প্রতিটি বর্ণ এক মাত্রা হিসাবে গণ্য হলেও 'ঐ' এবং 'ঔ' জাতিয় বর্ণ ২ মাত্রা হয় , কারণ এজাতিয় অক্ষর 'বদ্ধাক্ষর' । আবার স্বরচিহ্ন হয়ে অন্যকোনো বর্ণে যুক্ত হয় , তাহলে সেই বর্ণটি বা বর্ণ গুলো 'বদ্ধাক্ষর' হয়ে ২ মাত্রা হয়ে যাবে ।
উদাহারণ
চৈতালি ( চই + তা + লি ) ৪ মাত্রা
বৈশাখী ( বোই+শা+খী ) ৪ মাত্রা
ঐরাবত ( ওই+রা+ব+ত ) ৫ মাত্রা
ঔষধ ( ওউ+ষ+ধ ) ৪ মাত্রা
কৌশলে ( কোউ+শ+লে) ৪ মাত্রা
কিছু কিছু ব্যতিক্রম
--------------------
মাত্রাবৃত্ত ছন্দে "ই" এবং "ও" বর্ণ দুটি কোনো শব্দের শেষে বসে যদি স্বরচিহ্নের মত
উচ্চারিত হয় বা কাজ করে , তাহলে বর্ণদ্বয় মাত্রা হিসাবে গণ্য হবে না ।
যেমন >
আমারই ( আমারি ) উচ্চারণ হয় আ-মা-রি ৩ মাত্রা ।
তোমারই ( তোমারি ) " ৩ মাত্রা
আজও ( আজো ) উচ্চারণে, ২ মাত্রা
কারও (কারো) " ২ মাত্রা
কখনও (কখনো) " ৩ মাত্রা
নিজেরই (নিজেরি) " ৩ মাত্রা
তারই (তারি) " ২ মাত্রা
উদাহরণস্বরূপ কিছু কবিতার পঙক্তিঃ
১। দিকে দিকে আজও / বেজে ওঠে কোন্ / গজল এলাহী / গান,
পথহারা কোন্ / ফকিরের তানে / কেঁদে ওঠে সারা / প্রাণ।
[ ৬+৬+৬+২
৬+৬+৬+২ ]
("হিন্দু-মুসলমান" -জীবনানন্দ দাশ)
২। জয় তরুণের / জয়
আত্মাহুতির / রক্ত কখনও / আঁধারে হয় না / লয়।
[ ৬+২
৬+৬+৬+২ ]
("বিবেকানন্দ" -জীবনানন্দ দাশ)
৩। তারই প্রতীক্ষা / মেঘে বসে আছে / ব্যাকুল বিজন/ মরু ,
দিকে দিকে কত / নদী নির্ঝর / কত গিরিচূড়া / তরু।
[ ৬+৬+৬+২
৬+৬+৬+২ ]
( "বেদিয়া" -জীবনানন্দ দাশ)
লক্ষ্য করুন , পর্ব তিনটি ( দিকে দিকে আজও ), ( রক্ত কখনও ) এবং ( তারই প্রতীক্ষা ) এগুলোতে 'ও' এবং "ই" বর্ণদ্বয় মাত্রা হিসাবে গণ্য হয় নি।
--------------------­------------------
আবার >
কিছু শব্দের মাঝে "ও" বর্ণটি থাকলে মাত্রা হিসাবে গণ্য হতেও পারে , নাও হতে পারে । তবে , একই কবিতায় দুই ধরণের ব্যবহার করা যাবে না ।
শব্দগুলো হলো >
যাওয়া , পাওয়া , খাওয়া, নেওয়া , দেওয়া ইত্যাদি জাতিয় শব্দ । এগুলো ২ দুই মাত্রাও ধরা যায় আবার ৩ মাত্রাও ধরা যায় । তবে এক কবিতা বা গানে এসব শব্দ একবার ২ মাত্রা একবার ৩ মাত্রা ধরা যাবে না । ধরলে হয় ২ না হয় ৩ মাত্রা ধরতে হবে , মিক্সিং করা যাবে না ।
ছন্দ বিষয়ক আলোচনাঃ
( ৪র্থ পর্ব )
--------------------­--------------------­---------
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ কি বা কাকে বলে ?
আমরা জানি সব ছন্দেই মুক্তাক্ষর গুলি এক মাত্রা । তাই ছন্দে মুক্তাক্ষরের তেমন কোনো ভুমিকা নেই । বদ্ধাক্ষর গুলোই ছন্দের বৈচিত্তের আসল নিয়ামক ।
বদ্ধাক্ষর গুলি > স্বরবৃত্তে ১ মাত্রা , মাত্রাবৃত্তে ২ মাত্রা , অক্ষরবৃত্তে
শব্দের শুরুতে এবং মাঝে থাকলে ১ মাত্রা , কিন্তু শব্দের শেষে থাকলে ২ মাত্রা হয় । পর্ব নির্ধারিত হয় সাধারনত ( ৮+৬ ) মাত্রায় । প্রথম পর্ব ( ৮ ) বড় ঢেউয়ের মত উচ্চ এবং দ্বিতীয় পর্ব ( ৬ ) ছোট ঢেউয়ের মত নিম্নগামী ক্ষীণ ।
উদাহরণঃ
-------------
১। কণ্টক-মুকুট শোভা / দিয়াছ তাপস ,
অসঙ্কোচ প্রকাশের / দুরন্ত সাহস । ( ৮+৬...
৮+৬) মাত্রায় রচিত পঙক্তিদ্বয় ।
২। হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব / বিবিধ রতন
তা সবে অবোধ আমি / অবহেলা করি
পরধন লোভে মত্ত / করিনু ভ্রমন
পরদেশে ভিক্ষাবৃত্তি / কুক্ষণে আচরি
[ এখানে, প্রত্যেকটি পঙক্তিতে ১ম পর্ব ৮ মাত্রা এবং ২য় পর্ব ৬ মাত্রা ]
( "বঙ্গবাণী" - মাইকেল মধুসূদন দত্ত )
৩। মরিতে চাহি না আমি / সুন্দর ভূবনে
মানবের মাঝে আমি / বাঁচিবারে চাই।
এই সূর্যকরে এই / পুষ্পিত কাননে
জীবন্ত হৃদয় মাঝে / যদি স্থান পাই।
[ এখানেও প্রত্যেকটি পঙক্তিতে ১ম পর্ব ৮ মাত্রার এবং ২য় পর্ব ৬ মাত্রার ]
( "প্রাণ" - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
কোনো কোনো কবি ( ১০+৮ বা ৮+১০ ) নিয়মেও কিছু কবিতা লিখেছেন । কিন্তু নিয়মটি স্বতঃসিদ্ধ নয় বলা চলে । কারণ , পর্ব ১০ মাত্রা করা হলে পাঠের সময় ভিতরে কয়েকটি স্থানে যতি বা বিরাম আসে ।
আমরা জানি, " কোনো সুছন্দ কবিতা পাঠের সময় নির্দিষ্ট মাত্রা ও সময় শেষে যে কিঞ্চিৎ 'যতি বা বিরাম' আসে, সেখানেই পর্ব পূর্ণতা পায় ।" তাই ১০ মাত্রার পর্বে একাধিক যতি পড়ার কারণে সঠিক পর্বদোলা থাকে না বলেই নিয়মসিদ্ধ 'পর্ব' নয় ।
এখন কিছু প্রশ্নঃ
----------------
একটি বদ্ধাক্ষর দিয়ে সৃষ্ট শব্দ গুলি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে কয় মাত্রা হবে ?
২ মাত্রা হবে যেমন > (হাত, চোখ, চাই, পাই, মন ) ইত্যাদি ।
" অভ্যন্তরে " শব্দটি কয় মাত্রা হবে?
৪ মাত্রা ( অভ+ভোন+ত+রে )
এখানে, শুরুতে ও মাঝে 'বদ্ধাক্ষর' ( অভ, ভোন) তাই , ১ মাত্রা হিসাবে গণ্য হয়েছে ।
" ভিক্ষাবৃত্তি " কয় মাত্রা ?
৪ মাত্রা ( ভিক+খা+বৃত+তি )
" অসঙ্কোচ " কয় মাত্রা?
৪ মাত্রা ( অ+সঙ+'কোচ' )
এখানে 'কোচ' বদ্ধাক্ষর টি শেষে আছে, তাই ২ মাত্রা হয়েছে ।
Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top