৩০ নভেম্বর নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয় থেকে তাকে ঘুমন্ত রিজভী আহমেদকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপির তীব্র আন্দোলনের সময় অনেক নেতা যখন নিষ্ক্রিয় ছিলেন, তখন সাহসের সাথে কার্যালয়ে অবস্থান করে পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছেন রিজভী। প্রতি মুহূর্তে দলের সর্বশেষ অবস্থা ও কর্মসূচি নিয়ে অবগত করেছেন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের। তার এরকম সাহসী মনোভাবের কারণেই সরকার তাকে অনেকদিন কার্যালয়েই অবরুদ্ধ করে রাখে।
শারীরিক অসুস্থতা উপেক্ষা করেও রিজভী আহমেদ দলের জন্য এক নিবেদিত প্রাণ মানুষ। দলের সঙ্কট মুহূর্তেও থাকতেন আগে-ভাগে। তার এরকম অনমনীয় মনোভাবে হেরে যায় বিরুদ্ধবাদীদের সব কৌশল।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সর্বশেষ ৩০ নভেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে ৭২ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি। ঐ দিন রাতে কর্মসূচি শুরুর দেড় ঘন্টা আগে মই বেয়ে কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রিজভীকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ।
তাকে গ্রেফতারের সময় কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও বিভিন্ন রুমে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় রিজভীর সাথে থাকা নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদকেও আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন সাহসী রাজনীতিক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।