শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : আতিকুর রহমান রকির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আরিফা খাতুনের। তবে তাদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করে উভয়ের পরিবার। একপর্যায়ে পরিবারের অসম্মতিতেই বিয়ে করে এই প্রেমিক জুটি। কিন্তু বিয়ের দু’মাসেও পরিবার তাদের এই প্রেমের বিয়ে মেনে না নেয়ায় আত্মহননের পরিকল্পনা করে এই নবদম্পতি। পরিকল্পনা অনুযায়ি স্বামী আতিকুর রহমান বিষপান করে। আর স্ত্রী আরিফা খাতুন গলায় দড়ি দেয়। তবে স্ত্রী বেঁচে থাকলেও স্বামী মারা গেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান রকির (২৩) সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে নীলফামারী জেলা সদরের সোলায়মান আলীর মেয়ে আরিফা খাতুনের (২২)। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। তবে তাদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে উভয়ের পরিবার অস্বীকার করে। কিন্তু পরিবারের অসম্মতিতেই গত দু’মাস আগে বিয়ে করে তারা। এরপর নানামুখি চেষ্টার পরও পরিবার তাদের বিয়ে মেনে না নেয়ায় গতকাল দুপুরের দিকে রকি নিজ বাড়িতেই বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় একইদিন বিকেল ৪টার দিকে সে মারা যায়। এরইমধ্যে স্ত্রী আরিফা খাতুনও নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি দেয়। পরে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায় পরিবারসহ আশাপাশের লোকজন। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন। তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সে এখন শঙ্কামুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।