চেতনাবার্তা ডেস্কঃ চলন্ত মোটরসাইকেলে শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে প্রাণ হারালেন সেলিনা পারভীন শেলী নামে এক শিক্ষিকা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মমেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের কর্তব্যরত উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, সকালে নেত্রকোনা সদরের উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা গ্রাম থেকে স্বামী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে শহরে যাচ্ছিলেন ওই শিক্ষিকা। তিনি নেত্রকোনার দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। বিদ্যালয়ে জরুরি বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে পৌনে ১২টায় শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পৌঁছাতেই শাড়ির আঁচল মোটরসাইকেলের চাকায় পেঁচিয়ে যায়। এতে গলায় ফাঁস লাগায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান তিনি।
স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক তাকে আইসিইউতে নেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সেলিনা পারভীন। সেলিনা পারভীন শেলীর দেবর জহিরুল কবির শাহীন বলেন, ঈদে সবাই গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। আমাদের বাড়ির কাছাকাছি সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা গ্রামে ভাবির বাবার বাড়ি। সেখান থেকেই ফিরছিলেন তিনি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবির সাজু বলেন,
সেলিনা পারভীন দশম
শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি আমাকে সকাল সাড়ে ৯টায়
ফোন করেছিলেন। শ্রেণি শিক্ষকদের সঙ্গে সভায় বসার কথা ছিল। সেজন্য বিদ্যালয়ে
আসছিলেন তিনি। এদিকে, সেলিনা পারভীর শেলীর নিহতের ঘটনায় পরিবারের পাশাপাশি
স্কুলের সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।