মোঃ মেহেদী হাসান সুমনঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের নিয়োগ বিধিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার উল্লেখ নেই। যার ফলে অনেক এসএসসি পাস ও অনিচ্ছুক সহকারী শিক্ষক পদোন্নতির আওতায় চলে আসবে। তাই এই নিয়োগ বিধির আলোকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি হলে অনেক চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক তার পদ হারাবেন। তাদেরকে সহকারী শিক্ষক হিসাবে আবার ফিরে যেতে হবে। এটা মারাত্মক অপমান জনক হবে বলে আমি মনে করি।
তাই ২০১৯ সালের নিয়োগ বিধিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া প্রয়োজন। ১৯৯১ ও ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিতে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির যোগ্যতা ছিল এইচএসসি, সিইনএড/ডিপিএড ও সাত বছরের অভিজ্ঞতা। কিন্তু ২০১৯ সালের নিয়োগ বিধিতে শুধু অভিজ্ঞতার কথা বলা হল, শিক্ষাগত যোগ্যতা দেওয়া হল না তার কারণ উল্লেখ করা প্রয়োজন। প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদটি যেহেতু নন- গেজেটেড এবং ১১তম গ্রেড সেহেতু পিএসসি কিভাবে এসএসসি পাস শিক্ষকদের সুপারিশ করে তা বোধগম্য নয়।তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
সকল শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে তাঁদেরকে যাচাই- বাছাই করে গ্রেডেশন ভূক্ত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তাই পিএসসি’র অনুমোদন নিয়ে দ্রুত স্থায়ী পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হোক। নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলায় এসএসসি পাস ও অনিচ্ছুক থাকা সত্ত্বেও পিএসসি সুপারিশ করায় শিক্ষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সেজন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের সু-নজর কামনা করছি।
অতীতের নিয়োগ বিধির আলোকে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত দিয়ে নিয়োগ বিধি সংশোধন করা বিশেষ প্রয়োজন বলে মনে করছি। তা নাহলে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হবে। এই সমস্যার আশু সমাধান না হলে জেলা / উপজেলায় মামলায় জর্জরিত হয়ে যাবে। তখন পদোন্নতির আর মুখ দেখা যাবে না। তাই যারা চলতি দায়িত্ব পেয়েছেন তাদেরকে পিএসসি’র অনুমোদন নিয়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হোক।
লেখকঃ প্রধান শিক্ষক(চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত),সিধুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,নালিতাবাড়ী, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নালিতাবাড়ী উপজেলা শাখা,শেরপুর।
ও
মিডিয়া সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটি।