GuidePedia
আপনার প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে এখানে ক্লিক করুন অথবা মেইল করুন: chetonabarta@gmail.com

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে ছেলে ধরা অপবাদ দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ও মসজিদের ইমামের স্ত্রীকে প্রায় ৬ ঘন্টা আটক রেখে শারীরিক নির্যাতনসহ নন জুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া ও মাথার চুল কেটে দেয়া ঘটনার ৪ দিন পর অবশেষে গত শনিবার রাতে আদমদীঘি থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে জান্নাতুন নেছা বাদি হয়ে এ মামলা করেন।


মামলায় অভিযুক্ত আসামী করা হলো, বাদির দেবর উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের ইব্রাহিম সাগর, তার স্ত্রী রুপালি বেগম, শশুড় আব্দুস সামাদ, ননদ শাসছুন্নাহার, বাহাদুরপুর গ্রামের আনিকুলসহ ১০জনকে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, আদমদীঘির কুসুম্বী গ্রামের স্টেশন মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুস সালামের স্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গোলাম মোস্তফার মেয়ে জান্নাতুন নেছা গত ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে তার ভাইয়ের মেয়েকে দেখার উদ্দেশ্যে উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির বাহাদুরপুর গ্রামে যায়। সেখানে পূর্বশক্রতার জেরে জান্নাতুন নেছাকে ছেলে ধরা অপবাদ দিয়ে তার দেবর ইব্রাহিম সাগর. তার স্ত্রী রপালি বেগম অপর আসামীদের সহযোগিতায় বাহাদুরপুর গ্রামে দেবর সাগরের শ্বশুর বাড়িতে বেলা ১২ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত জান্নাতুন নেছাকে আটক রেখে মারধর ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে নির্যাতন, মাথার কিছু চুল কেটে দিয়ে সাদা ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এ সময় নির্যাতনের শিকার ওই নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়েও আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার কোন সাড়া পাননি। পরে জান্নাতুন নেছার স্বামী ও স্থানীয় ইউপির মহিলা সদস্যার সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও নানা কারনে তার মামলাটি রেকর্ড করা হয়নি। অবশেষে গত ২৩ জুলাই শনিবার রাতে মামলাটি এজাহারভুক্ত রেকর্ড করা হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মামলা রুজু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেফতার তৎপরতা চলছে।

Comments
0 Comments

Post a Comment

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
-সম্পাদক, চেতনাবার্তা।

 
Top