চেতনা বার্তা ডেস্ক: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সামনের সপ্তাহে আবারও হরতাল বা অবরোধের মতো কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা করছে।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী জোটের ডাকে একটানা চারদিনের এক হরতাল
আজ বুধবার শেষ হওয়ার কথা। এর আগের দু সপ্তাহেও তিন দিন করে হরতাল হয়েছে
বিরোধী দলগুলোর ডাকে।
কিন্তু নির্দলীয় সরকারের দাবির ব্যাপারে সরকারের দিক থেকে কোন অনুকূল
সাড়া না পাওয়ায় এবং সরকার বিরোধী দলের বেশ কিছু নেতাকে গ্রেফতারের পর
বিএনপি আবারও কঠোর কর্মসূচির কথাই ভাবছে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ বলছিলেন, আমরা হরতাল
কর্মসূচি নিয়ে যেমন ভাবছি। তার সাথে অসহযোগ হতে পারে। ঢাকাসহ বিভাগীয়
শহরগুলোতে অবরোধ কর্মসূচি নেওয়ার চিন্তাও আমরা করছি।
একইসাথে হান্নান শাহ উল্লেখ করেছেন, নতুন কর্মসূচি নিয়ে যে চিন্তা তাদের
মধ্যে কাজ করছে, সে ব্যাপারে তাদের দলের স্থায়ী কমিটি এবং ১৮ দলীয় জোটের
নেতাদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
গত শুক্রবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, এম কে
আনোয়ার এবং রফিকুল ইসলাম মিয়াসহ দলটির মোট পাঁচজন নেতাকে আটক করা হয়েছিল।
তাঁরা এখনও গ্রেফতার রয়েছেন। সে সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন এবং
কার্যালয়কে ঘিরে পুলিশের অবস্থান ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিরোধী নেতাদের ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা
আত্মগোপনে গেছেন। কিন্তু বিএনপি নেতা হান্নান শাহ বলেন, এর মানে এই নয় যে
বিএনপি আন্দোলনের পথ থেকে পিছু হটছে।
‘আমি বলবো, কৌশলগত কারণে তাঁরা আত্মগোপন করে আছেন। সত্য কথা বলতে কি, গত
শুক্রবার যখন সরকার ধরপাকড় শুরু করেছিল তখন আমাদের উচ্চপর্যায়ের কিছু নেতা
বিভ্রান্ত হয়েছিলেন এবং ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু যতই দিন গেছে, আমাদের
নেত্রীর দৃঢ়তা দেখে উনারা মনোবল ফিরে পেয়েছেন এবং হরতালের কর্মসূচিতে অংশ
নিচ্ছেন।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি বলেন, অনিশ্চিত একটা পরিস্থিতি
থেকে বেরিয়ে আসতে সরকার সংলাপের উদ্যোগ নেবে, বিএনপি এখনও সেটি চায়।
অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার ব্যাপারেই তাদের দলে চাপ রয়েছে। সূত্র:
বিবিসি