জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় দেয়া হবে যে কোন দিন। সকালে আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই মামলার কার্যক্রম শেষ ঘোষণা করে রায় অপেক্ষমান
রাখেন। প্রসিকিউশন থেকে দাবি করা হয়েছে তারা নিজামীর বিরুদ্ধে আনীত সব
অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আর আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামীকাল
ট্রাইব্যুনাল-১ এর এই আদেশ পুন:র্বিবেচনার আবেদন করা হবে। গত বছরের ২৮ মে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগে জামায়াতের
আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে নিজামীর মামলায় ৩ নভেম্বর
থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রসিকিউশন যুক্তি উপস্থাপন করে। ৭ নভেম্বর
আসামিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে। ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৫টি অভিযোগের
পক্ষে দালিলিক ও মৌখিক সাক্ষ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে। চারটি অভিযোগ রয়েছে উস্কানির। যেখানে পাকিস্তানকে
পবিত্র ভূমি হিসেবে তাকে রক্ষা করার কজন্য তিনি সবাই আহ্বান জানিয়েছিলেন।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে যুক্তি উপস্থাপনের সময় বলা হয়, ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে
নিজামী একাত্তর সালে তরুণদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। কিন্তু চার
কার্যদিবসে ব্যক্তিগত কারণে আসামিপক্ষ থেকে সময় আবেদন করা হলে আবেদন মঞ্জুর
করে বুধবার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য শেষ সুযোগ দেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু
এদিনও সময় আবেদন করা হলে তা নাকচ করে নিজামীর মামলার রায় অপেক্ষমান রাখেন
ট্রাইব্যুনাল-১।
আদেশে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেন ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামিপক্ষে সময় চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। পরে তথ্যগত ও আইনগত বিষয় বিশ্লেষণ করে ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। তবে আসামিপক্ষ চাইলে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে নিজামীর পক্ষে যুক্তি লিখিত আকারে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করতে পারবে।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজামী বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিল তা প্রমাণ করতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী। নিজামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে রয়েছ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা, পাবনার করমজা গ্রামে হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে দাদের উপর আক্রমণ, কছিমুদ্দি নামে এক শিক্ষককে হত্যাসহ উস্কানীর অভিযোগ।
তবে আসামিপক্ষ থেকে রায় অপেক্ষমাণ রাখার ট্রাইব্যুনালের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী তারিকুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, এই রায়ে তারা অবাক হয়েছেন এবং এর ফলে আসামি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
নিজামীর বিপক্ষে প্রসিকিউশনের ২৬ জন আর সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল নির্ধারণ করে দেয়া নিজামীর ছেলেসহ ৪জন।
আদেশে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেন ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামিপক্ষে সময় চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। পরে তথ্যগত ও আইনগত বিষয় বিশ্লেষণ করে ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। তবে আসামিপক্ষ চাইলে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে নিজামীর পক্ষে যুক্তি লিখিত আকারে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করতে পারবে।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজামী বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিল তা প্রমাণ করতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী। নিজামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে রয়েছ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা, পাবনার করমজা গ্রামে হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে দাদের উপর আক্রমণ, কছিমুদ্দি নামে এক শিক্ষককে হত্যাসহ উস্কানীর অভিযোগ।
তবে আসামিপক্ষ থেকে রায় অপেক্ষমাণ রাখার ট্রাইব্যুনালের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী তারিকুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, এই রায়ে তারা অবাক হয়েছেন এবং এর ফলে আসামি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
নিজামীর বিপক্ষে প্রসিকিউশনের ২৬ জন আর সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল নির্ধারণ করে দেয়া নিজামীর ছেলেসহ ৪জন।