চেতনা বার্তা ডেস্কঃ শুধুমাত্র দেশের মানুষ ও দেশকে বাঁচানোর জন্যই রাজনীতিতে সংযুক্ত হয়েছেন
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ক্ষমতা, পদ বা টাকার কোনো
লোভ নেই তার।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিশেষ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান ‘সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ এ নিজের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে এ মনোভাব প্রকাশ করেন তিনি। দেশেকে নিয়ে নিজের চিন্তার কথা বলেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, রাজনীতিতে যুক্ত হই ২০০১ সালের পর। তখন থেকেই রোজ আমি দেশের খবর পড়ি। ২০০১ সালে খবরের কাগজের একটি বিশেষ সংবাদ আমর হৃদয়ে দাগ কাটে। ১০ মাসের একটি শিশুকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে আগুনে ছুড়ে মারে বিএনপি ক্যাডাররা। তাতে ঐ শিশুটি মারা যায়। এ সংবাদ আমার হৃদয়ে আঘাত করে। মনে জেদ চাপে, এমন একটি সন্ত্রাসী দলকে আমি ক্ষমতা থেকে সরাবোই; যারা এমন অমানুষিক কাজ করে, সেই ৭১ এর স্টাইলে। তখনই আমি জড়িত হই মিডিয়াতে নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইনে। তারপর আবার ২০০৪ সালে আমার মায়ের উপর যখন গ্রেনেড হামলা হয়, আমি দেশে আসি। জনসাধারণের সঙ্গে মিশি। আসলে আমার রাজনীতিতে সংযুক্ত হওয়া শুধুমাত্র দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্যই।
ফুলটাইম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হচ্ছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, সত্যি কথা হচ্ছে আমি এখনো সেভাবে চিন্তা করিনা। ২০০৪ সালে এসেছি বিএনপির ভুয়া ভোটার তালিকার মাধ্যমে অনৈতিক নির্বাচন ঠেকাতে। এখন এসেছি ফের নিজের দল ক্ষমতায় আনতে।
তিনি বলেন, নিজেকে কখনো নেতা হিসেবে দেখিনি, আমার ইচ্ছা দেশকে নিয়ে কিছু করা। দেশের মানুষ ও তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আমার বিশেষ কিছু স্বপ্ন আছে। আমরা কিন্তু সবসময় গরীব দেশ হিসেবে থাকবো না। কিছু দিনের মধ্যে আমরা থাইল্যান্ডকে ধরবো।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বা তৎপরবর্তী মন্ত্রীসভার সদস্যপদ অথবা দলের বড় কোনো পদ চান না জয়।
তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশে একটা আধুনিক ইলেকশন ক্যাম্পেইন করা। অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করে জুলাই মাস থেকে আমরা নেমে গেছি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা থেকে আমি ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একটা প্রচার শুরু করেছি। বিলবোর্ড ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রচার করেছি, এখন রেডিও দিয়ে শুরু করবো।
বাংলাদেশকে যানজটমুক্ত করার জন্য কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি, বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করে পুরো শহরটাকে দোতলা করে ফেলা আমাদের পরিকল্পনা। যারা লোকাল তারা নিচ দিয়ে আর যারা দূরের যাত্রী তারা দোতলায় যাবে।
মহাজোট ক্ষমতায় আসলে কর্মসংস্থানের জন্যও ভাবনা রয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের। তিনি বলেন, এ নিয়ে আমার বড় পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যে আমরা কতগুলো কর্মসূচি হাতে নিয়েছি যার মধ্যে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ৮০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ১৪ হাজার স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র ও বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর মধ্য দিয়ে আমরা ব্যাপক কর্মসংস্থান করেছি। আগামীতে আরো ৫০ হাজার স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র করবো।
প্রাইভেট সেক্টরে আরো কর্মসংস্থান তৈরি করার একটা বড় প্ল্যান আছে। বিশ্বব্যাংকের
রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, আমরা কর্মসংস্থানে ভালো ইমপ্রুভ করেছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সরকারি সেক্টরে অনেক কাজ হয়ে গেছে। ভূমি
রেজিস্টেশনের ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। আদালত এখনো হয়নি, তবে করবো। এছাড়াও আমরা আইটি সেক্টরটিকে ইন্ডাষ্ট্রি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। গত সরকার আমাদের এই শিল্পে ব্যাপক কাজ করেছে। গামেন্টস সেক্টর থেকে সরকার যেটুকু ফল পাচ্ছে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আইটি সেক্টর থেকে তার বেশি অর্জন থাকবে দেশের। আইটি সেক্টরে আগের ২৩ মিলিয়ন ডলার আয় বাড়িয়ে গত ৫ বছরে থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছি। আরো এগিয়ে যেতে সরকার থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করবো।
এত উন্নয়নের পরও সরকারকে কেন এত বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, সমালোচনা হচ্ছে? এমন এক পশ্নের উত্তরে জয় বলেন, এর মূল কারণ হলো দু’দলের চরিত্রগত ভিন্নতা। আমরা উন্নয়ন করে যাচ্ছি, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আর বিরোধী দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সরকারে থাকতে উন্নয়ন করেনি। তারা মিথ্যাপ্রচারে লেগে থাকে। খবরের কাগজে আমি যেটা দেখলাম, বিরোধী দলীয় নেতা রোজ বলে যাচ্ছেন আমন্ত্রণ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ আমার মা, দেশের প্রধানমন্ত্রী বারবার আমন্ত্রণ করেছেন, ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন। উনারা বলেছেন আসবের। উনারা আসা তো দূরের কথা বারবার হরতাল দিয়ে যাচ্ছেন। এটাই হয়ে গেছে সমস্যা ।
এক প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, আইন করে হরতাল বন্ধ করা যায় না। প্রতিবাদ করা হচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার। এখন হরতাল করে প্রতিবাদের নামে ককটেল ফুটানো হয়, বোমা হামলা করা হয়। নিরীহ মানুষের গাড়ীতে আগুন দেয়া হয়, মানুষ মারা হয়, সেটা প্রতিবাদ তো নয়, সন্ত্রাস। মানুষকে নির্যাতন করা, আতঙ্কে ফেলা।
আগামীতে কোন পাঁচটি বিষয়কে বেশি প্রাধান্য দেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এ
তথ্যপ্রযুত্তিবিদ বলেন, প্রথম প্রাধান্য হলো: দারিদ্র্যের সীমা কমানো, গত পাঁচ বছরে
১৫% কমেছে আগামীতে আরো ১৫% কমানো লক্ষ্য। দ্বিতীয় অগ্রাধিকার শিক্ষা। ডিডিটাল শিক্ষাপদ্ধতির প্রবর্তন হয়েছে। প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নেয়ার সুযোগ রয়েছে। অনেক স্কুল ও কলেজ করার পরিকল্পনা আছে। এছাড়াও প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে। তৃতীয় অগ্রাধিকার ডিজিটাল বাংলাদেশ, আইটি ইন্ডাস্ট্রিটাকে গ্রো করা। চতুর্থ বিনোযোগ বাড়ানো, এতে মানুষের আয় বাড়ানো যাবে। পাঁচ স্বাস্থ্যসেবা, আগামীতে যে যেখানে থাকুক, স্বাস্থ্য সেবা পাবে।
সোহেল তাজকে আবার ফিরিয়ে আনা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোহেল আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সে যদি আসতে চায় তাকে অবশ্যই স্বাগত জানাবো। তবে, এটা তার(সোহেল তাজ) উপর নির্ভর করে।
তরুণ প্রজন্মের নেতা হিসেবে আপনার নাম চলে আসে, আপনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি সঙ্গে জড়িত হয়েছেন, তবে, দীর্ঘদিন যাবত আপনি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, এখন কি কারণে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া?
সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, দল ও দেশের পক্ষে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
নিজের উচ্চশিক্ষা ও পারিবারিক আবহে রাজনৈতিক ইন্টার্নশিপ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে চান। উন্নয়নের গতিধারায় এগিয়ে নিয়ে যেতে চান পিতামহের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে। গড়তে চান নিজের দেখা স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ।
জয় জানান, সুদূর প্রবাসের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে চলে এসেছেন আপন ঐতিহ্যের ধারক এই বাংলার বুকে। ঘুরে বেড়াচ্ছেন নয়নাভিরাম সবুজ বাংলার পথ-প্রান্তরে। সভা-সেমিনার, সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় তুলে ধরছেন গত পাঁচ বছরে দেশের উন্নয়নের কথা, নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে চাইছেন আপমর জনতার সমর্থন। লক্ষ একটাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়া।
বাংলাদেশ প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ দল আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নেতা সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তুলনা করলে কেমন লাগে? জানতে চাইলে তিনি সরাসরি উত্তর করেন, ভালো লাগে না। আমি পরিশ্রম করে এ পর্যন্ত এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে প্রিন্সের মত চলতে পারতাম, চলিনি। সরল ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করি। তিনি বলেন, আমি চাইনা আমার তুলনা তার সঙ্গে হোক, যার বিরুদ্ধে এফবিআই এসে দুর্নীতির সাক্ষ্য দিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি কিছু সমালোচনাও আছে, যেমন পদ্মাসেতু দুর্নীতি, হলমার্ক ও শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি এ বিষয়গুলো কিভাবে দেখছেন? জবাবে জয় বলেন, পদ্মাসেতুর দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। যাদের এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নতুন করে আবার পদ্মাসেতুর কাজ শুরু হয়েছে। আর হলমার্ক, ডেসটিনি শুরু হয়েছে বিএনপির আমল থেকে। এই সরকারের আমলে দুর্নীতি হয়নি। বিএনপি করেছে। যখন যেখানে নীতির ব্যত্যয় আওয়ামী লীগ সরকার পেয়েছে, ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিরোধী দলের আন্দোলনকে সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে জয় বলেন, আজকে আমাদের উন্নয়নের বিপরীতে বিরোধী দল করছে আন্দোলন। তাদের এটা আন্দোলনও না। আন্দোলন, প্রতিবাদের নামে তারা সন্ত্রাস করছে, মানুষ মারছে। বিরোধী জোটের নৈরাজ্যে নোংরা রাজনৈতিক প্রতিবাদ প্রসঙ্গে ক্ষোভও প্রকাশ করলেন জয়।
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ক্ষমতা, পদ বা টাকার কোনো
লোভ নেই তার।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিশেষ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান ‘সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ এ নিজের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে এ মনোভাব প্রকাশ করেন তিনি। দেশেকে নিয়ে নিজের চিন্তার কথা বলেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, রাজনীতিতে যুক্ত হই ২০০১ সালের পর। তখন থেকেই রোজ আমি দেশের খবর পড়ি। ২০০১ সালে খবরের কাগজের একটি বিশেষ সংবাদ আমর হৃদয়ে দাগ কাটে। ১০ মাসের একটি শিশুকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে আগুনে ছুড়ে মারে বিএনপি ক্যাডাররা। তাতে ঐ শিশুটি মারা যায়। এ সংবাদ আমার হৃদয়ে আঘাত করে। মনে জেদ চাপে, এমন একটি সন্ত্রাসী দলকে আমি ক্ষমতা থেকে সরাবোই; যারা এমন অমানুষিক কাজ করে, সেই ৭১ এর স্টাইলে। তখনই আমি জড়িত হই মিডিয়াতে নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইনে। তারপর আবার ২০০৪ সালে আমার মায়ের উপর যখন গ্রেনেড হামলা হয়, আমি দেশে আসি। জনসাধারণের সঙ্গে মিশি। আসলে আমার রাজনীতিতে সংযুক্ত হওয়া শুধুমাত্র দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্যই।
ফুলটাইম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হচ্ছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, সত্যি কথা হচ্ছে আমি এখনো সেভাবে চিন্তা করিনা। ২০০৪ সালে এসেছি বিএনপির ভুয়া ভোটার তালিকার মাধ্যমে অনৈতিক নির্বাচন ঠেকাতে। এখন এসেছি ফের নিজের দল ক্ষমতায় আনতে।
তিনি বলেন, নিজেকে কখনো নেতা হিসেবে দেখিনি, আমার ইচ্ছা দেশকে নিয়ে কিছু করা। দেশের মানুষ ও তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আমার বিশেষ কিছু স্বপ্ন আছে। আমরা কিন্তু সবসময় গরীব দেশ হিসেবে থাকবো না। কিছু দিনের মধ্যে আমরা থাইল্যান্ডকে ধরবো।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বা তৎপরবর্তী মন্ত্রীসভার সদস্যপদ অথবা দলের বড় কোনো পদ চান না জয়।
তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশে একটা আধুনিক ইলেকশন ক্যাম্পেইন করা। অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করে জুলাই মাস থেকে আমরা নেমে গেছি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা থেকে আমি ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একটা প্রচার শুরু করেছি। বিলবোর্ড ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রচার করেছি, এখন রেডিও দিয়ে শুরু করবো।
বাংলাদেশকে যানজটমুক্ত করার জন্য কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি, বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করে পুরো শহরটাকে দোতলা করে ফেলা আমাদের পরিকল্পনা। যারা লোকাল তারা নিচ দিয়ে আর যারা দূরের যাত্রী তারা দোতলায় যাবে।
মহাজোট ক্ষমতায় আসলে কর্মসংস্থানের জন্যও ভাবনা রয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের। তিনি বলেন, এ নিয়ে আমার বড় পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যে আমরা কতগুলো কর্মসূচি হাতে নিয়েছি যার মধ্যে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ৮০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ১৪ হাজার স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র ও বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর মধ্য দিয়ে আমরা ব্যাপক কর্মসংস্থান করেছি। আগামীতে আরো ৫০ হাজার স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র করবো।
প্রাইভেট সেক্টরে আরো কর্মসংস্থান তৈরি করার একটা বড় প্ল্যান আছে। বিশ্বব্যাংকের
রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, আমরা কর্মসংস্থানে ভালো ইমপ্রুভ করেছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সরকারি সেক্টরে অনেক কাজ হয়ে গেছে। ভূমি
রেজিস্টেশনের ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। আদালত এখনো হয়নি, তবে করবো। এছাড়াও আমরা আইটি সেক্টরটিকে ইন্ডাষ্ট্রি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। গত সরকার আমাদের এই শিল্পে ব্যাপক কাজ করেছে। গামেন্টস সেক্টর থেকে সরকার যেটুকু ফল পাচ্ছে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আইটি সেক্টর থেকে তার বেশি অর্জন থাকবে দেশের। আইটি সেক্টরে আগের ২৩ মিলিয়ন ডলার আয় বাড়িয়ে গত ৫ বছরে থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছি। আরো এগিয়ে যেতে সরকার থেকে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করবো।
এত উন্নয়নের পরও সরকারকে কেন এত বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, সমালোচনা হচ্ছে? এমন এক পশ্নের উত্তরে জয় বলেন, এর মূল কারণ হলো দু’দলের চরিত্রগত ভিন্নতা। আমরা উন্নয়ন করে যাচ্ছি, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আর বিরোধী দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সরকারে থাকতে উন্নয়ন করেনি। তারা মিথ্যাপ্রচারে লেগে থাকে। খবরের কাগজে আমি যেটা দেখলাম, বিরোধী দলীয় নেতা রোজ বলে যাচ্ছেন আমন্ত্রণ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ আমার মা, দেশের প্রধানমন্ত্রী বারবার আমন্ত্রণ করেছেন, ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন। উনারা বলেছেন আসবের। উনারা আসা তো দূরের কথা বারবার হরতাল দিয়ে যাচ্ছেন। এটাই হয়ে গেছে সমস্যা ।
এক প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, আইন করে হরতাল বন্ধ করা যায় না। প্রতিবাদ করা হচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার। এখন হরতাল করে প্রতিবাদের নামে ককটেল ফুটানো হয়, বোমা হামলা করা হয়। নিরীহ মানুষের গাড়ীতে আগুন দেয়া হয়, মানুষ মারা হয়, সেটা প্রতিবাদ তো নয়, সন্ত্রাস। মানুষকে নির্যাতন করা, আতঙ্কে ফেলা।
আগামীতে কোন পাঁচটি বিষয়কে বেশি প্রাধান্য দেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এ
তথ্যপ্রযুত্তিবিদ বলেন, প্রথম প্রাধান্য হলো: দারিদ্র্যের সীমা কমানো, গত পাঁচ বছরে
১৫% কমেছে আগামীতে আরো ১৫% কমানো লক্ষ্য। দ্বিতীয় অগ্রাধিকার শিক্ষা। ডিডিটাল শিক্ষাপদ্ধতির প্রবর্তন হয়েছে। প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নেয়ার সুযোগ রয়েছে। অনেক স্কুল ও কলেজ করার পরিকল্পনা আছে। এছাড়াও প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে। তৃতীয় অগ্রাধিকার ডিজিটাল বাংলাদেশ, আইটি ইন্ডাস্ট্রিটাকে গ্রো করা। চতুর্থ বিনোযোগ বাড়ানো, এতে মানুষের আয় বাড়ানো যাবে। পাঁচ স্বাস্থ্যসেবা, আগামীতে যে যেখানে থাকুক, স্বাস্থ্য সেবা পাবে।
সোহেল তাজকে আবার ফিরিয়ে আনা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোহেল আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সে যদি আসতে চায় তাকে অবশ্যই স্বাগত জানাবো। তবে, এটা তার(সোহেল তাজ) উপর নির্ভর করে।
তরুণ প্রজন্মের নেতা হিসেবে আপনার নাম চলে আসে, আপনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি সঙ্গে জড়িত হয়েছেন, তবে, দীর্ঘদিন যাবত আপনি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, এখন কি কারণে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া?
সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, দল ও দেশের পক্ষে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
নিজের উচ্চশিক্ষা ও পারিবারিক আবহে রাজনৈতিক ইন্টার্নশিপ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে চান। উন্নয়নের গতিধারায় এগিয়ে নিয়ে যেতে চান পিতামহের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে। গড়তে চান নিজের দেখা স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ।
জয় জানান, সুদূর প্রবাসের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে চলে এসেছেন আপন ঐতিহ্যের ধারক এই বাংলার বুকে। ঘুরে বেড়াচ্ছেন নয়নাভিরাম সবুজ বাংলার পথ-প্রান্তরে। সভা-সেমিনার, সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় তুলে ধরছেন গত পাঁচ বছরে দেশের উন্নয়নের কথা, নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে চাইছেন আপমর জনতার সমর্থন। লক্ষ একটাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়া।
বাংলাদেশ প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ দল আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নেতা সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তুলনা করলে কেমন লাগে? জানতে চাইলে তিনি সরাসরি উত্তর করেন, ভালো লাগে না। আমি পরিশ্রম করে এ পর্যন্ত এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে প্রিন্সের মত চলতে পারতাম, চলিনি। সরল ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করি। তিনি বলেন, আমি চাইনা আমার তুলনা তার সঙ্গে হোক, যার বিরুদ্ধে এফবিআই এসে দুর্নীতির সাক্ষ্য দিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি কিছু সমালোচনাও আছে, যেমন পদ্মাসেতু দুর্নীতি, হলমার্ক ও শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি এ বিষয়গুলো কিভাবে দেখছেন? জবাবে জয় বলেন, পদ্মাসেতুর দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। যাদের এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নতুন করে আবার পদ্মাসেতুর কাজ শুরু হয়েছে। আর হলমার্ক, ডেসটিনি শুরু হয়েছে বিএনপির আমল থেকে। এই সরকারের আমলে দুর্নীতি হয়নি। বিএনপি করেছে। যখন যেখানে নীতির ব্যত্যয় আওয়ামী লীগ সরকার পেয়েছে, ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিরোধী দলের আন্দোলনকে সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে জয় বলেন, আজকে আমাদের উন্নয়নের বিপরীতে বিরোধী দল করছে আন্দোলন। তাদের এটা আন্দোলনও না। আন্দোলন, প্রতিবাদের নামে তারা সন্ত্রাস করছে, মানুষ মারছে। বিরোধী জোটের নৈরাজ্যে নোংরা রাজনৈতিক প্রতিবাদ প্রসঙ্গে ক্ষোভও প্রকাশ করলেন জয়।