চেতনা বার্তা ডেস্কঃ নির্বাচনের নামে সরকার ও নির্বাচন কমিশন ‘রসিকতা’ করছে বলে অভিযোগ করেছে
বিএনপি। একই সঙ্গে দেশের মানুষ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রহসনের নির্বাচনী
নাটক বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে দলটি।
শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যথার্থ নির্বাচন চায়। সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় সম্মত হতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াকে ‘বিজয়ের মহোৎসব’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘মহাজোটের প্রায় সব নেতাই বিজয়ী হয়ে গেছেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মহাজোট থেকে সরিয়ে যাদেরকে বিরোধীদল বানানোর চেষ্টা হয়েছিল-সেই জাতীয় পার্টি প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করার পরেও তাদের কোনো কোনো নেতা বিজয়ী হয়ে গেছেন। যারা ইতোপূর্বে জামানত হারিয়েছেন-তারাও বিজয়ী হয়েছেন। এদেশের জনগণ কখনও এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখেনি। বিশ্বে এমন ঘটনা বিরল।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও সরকারি দল সম্ভাব্য বিরোধী দলের জন্য আসন বরাদ্দ করে এমনটা আমাদের জানা নেই। এমন হাস্যকর ঘটনা গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের জন্য শুধু মর্মান্তিক নয়-আত্মবিধ্বংসী।’
গণতন্ত্রের বদলে দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন এক প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করছে।’
‘রাজনৈতিক সমঝোতার আগেই তফসিল ঘোষণার কারণে সারাদেশে প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে। এজন্য সরকার এবং তাদের আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন দায়ী।’
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘যে দেশে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও তা প্রত্যাহার হয় না। প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করলেও মন্ত্রীরা বহাল থাকেন-সেখানে কি না সম্ভব।’
‘সংলাপ চলছে কিন্তু সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো দাবি মানা সম্ভব নয়’-মোহাম্মদ নাসিমের এমন বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘এতে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহবান ছিল নিতান্তই ছলনা। জনমতকে উপেক্ষা করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করাই তাদের উদ্দেশ্য।’
নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, ‘দক্ষ ও সুশিক্ষিত র্যাব বাহিনীকে গত পাঁচ বছরে সরকার নগ্নভাবে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে ব্যবহার করে কলঙ্কিত ও ভীতিকর বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘অযোগ্যতা ও অপশাসনের মাধ্যমে এই সরকার শুধু দেশ ও গণতন্ত্রকে খাদের কিনারে নেয়নি, দেশের জনগণকেও হতাশ ও শঙ্কিত করেছে। এর দ্রুত অবসান এখন সময়ের দাবি।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য আত্মত্যাগী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান নজরুল ইসলাম খান।
শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যথার্থ নির্বাচন চায়। সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় সম্মত হতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াকে ‘বিজয়ের মহোৎসব’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘মহাজোটের প্রায় সব নেতাই বিজয়ী হয়ে গেছেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মহাজোট থেকে সরিয়ে যাদেরকে বিরোধীদল বানানোর চেষ্টা হয়েছিল-সেই জাতীয় পার্টি প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করার পরেও তাদের কোনো কোনো নেতা বিজয়ী হয়ে গেছেন। যারা ইতোপূর্বে জামানত হারিয়েছেন-তারাও বিজয়ী হয়েছেন। এদেশের জনগণ কখনও এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখেনি। বিশ্বে এমন ঘটনা বিরল।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও সরকারি দল সম্ভাব্য বিরোধী দলের জন্য আসন বরাদ্দ করে এমনটা আমাদের জানা নেই। এমন হাস্যকর ঘটনা গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের জন্য শুধু মর্মান্তিক নয়-আত্মবিধ্বংসী।’
গণতন্ত্রের বদলে দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন এক প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করছে।’
‘রাজনৈতিক সমঝোতার আগেই তফসিল ঘোষণার কারণে সারাদেশে প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে। এজন্য সরকার এবং তাদের আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন দায়ী।’
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘যে দেশে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও তা প্রত্যাহার হয় না। প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করলেও মন্ত্রীরা বহাল থাকেন-সেখানে কি না সম্ভব।’
‘সংলাপ চলছে কিন্তু সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো দাবি মানা সম্ভব নয়’-মোহাম্মদ নাসিমের এমন বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘এতে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহবান ছিল নিতান্তই ছলনা। জনমতকে উপেক্ষা করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করাই তাদের উদ্দেশ্য।’
নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, ‘দক্ষ ও সুশিক্ষিত র্যাব বাহিনীকে গত পাঁচ বছরে সরকার নগ্নভাবে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে ব্যবহার করে কলঙ্কিত ও ভীতিকর বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘অযোগ্যতা ও অপশাসনের মাধ্যমে এই সরকার শুধু দেশ ও গণতন্ত্রকে খাদের কিনারে নেয়নি, দেশের জনগণকেও হতাশ ও শঙ্কিত করেছে। এর দ্রুত অবসান এখন সময়ের দাবি।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য আত্মত্যাগী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান নজরুল ইসলাম খান।